মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ তথ্য প্রযুক্তি উন্নয়নে ক্ষুধামুক্ত স্বনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের অঙ্গিকারে কৃষিক্ষেত্রের স্বর্ণ সময়ে প্রবেশ করেছে ইতিহাস ঐতিহ্যের শস্যভান্ডার নামে খ্যাত কৃষিতে স্বনির্ভর বৃহত্তর জনপদ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর।জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় কৃষক যখন সেচ নিয়ে চিন্তিত ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে মাঠে মাঠে শোভা পাচ্ছে খরা সহিষ্ণু স্বল্প জীবনকালের উচ্চ ফলনশীল ধান ‘নেরিকা মিউট্যান্ট’। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের কৌশল যান্ত্রিক উপায়ে ক্ষতিকর পোকা দমন হিসাবে অতন্ত্র প্রহরী হয়ে ধানের মাঠে মাথা উঁচু করে কানের দুলের মত বাতাসে দোল খাওয়া সেক্স ফেরোমেন ফাঁদে যোগ করেছে সৌন্দর্যের এক নতুন ধারা।
উৎপাদন খরচ কমিয়ে অধিক উৎপাদন, ভূমির উর্বরতম মান বৃদ্ধি ও সুষম সার ব্যবহার করে নতুন জাতের এই ধান নিয়ে চিরিরবন্দর কৃষকদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে প্রবল আগ্রহ। সরকারিভাবে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে নেরিকা ধানের বীজ ও সার প্রদান করা হয়। এছাড়াও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের একান্ত উদ্বুদ্ধকরণে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হেক্টর জমিতে নেরিকা মিউট্যান্ট ধানের চাষ করা হয়েছে। গত বিগত বছর গুলোতে এ উপজেলায় স্বল্প পারিমান জমিতে নেরিকা আবাদ হলেও এবছর প্রায় তিনগুণ আবাদ হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ফলনও বেশি হয়েছে বলে চাষী ও উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান বলেন, নেরিকা ধান সম্বন্ধে কৃষকদের পর্যাপ্ত পরামর্শ ও উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ উপজেলায় নেরিকা আবাদ ও ফলন উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী দিনে মানুষ এই ধান চাষে কৃষক বেশি আগ্রহী হবে বলে তিনি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।