চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুর চিরিরবন্দরে কোরবানি ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জমে উঠছে পশুর হাটগুলো। ইতোমধ্যে বাজারে প্রচুর গরুর আমদানি হচ্ছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সরেজমিনে বর্তমান অবস্থা প্রেক্ষাপটে বাইরে থেকে বেপারি বা ক্রেতা না আসায় গরুর হাটে কেনাবেচা নেই বললেই চলে। ফলে খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা গরু বিক্রি করতে না পেরে চরম হতাশায় ভুগছেন। চিরিরবন্দর উপজেলায় ৩টি বড় পশুর হাট রয়েছে। হাটগুলো হচ্ছে- রাণীরবন্দর, কারেন্টহাট,বিন্যাকুড়ি এছাড়াও রয়েছে ছোট বড় গরুর হাট। কোরবানি উপলক্ষে এসব হাটে প্রচুর গরুর আমদানি হচ্ছে। দেশীয় খামারে মোটাতাজাকরণ গরুসহ ভারতীয় গরু রয়েছে। সরেজমিনে উপজেলার রাণীরবন্দর হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাটে ব্যাপক পরিমাণ গরু আমদানি হয়েছে। ছোট গরু থেকে শুরু করে বিশাল বিশাল আকারের গরুও রয়েছে। কিন্তু আমদানিকৃত গরুর তুলনায় ক্রেতা নেই বললেও চলে। জেহের আলী, নজরুল,ফিজারসহ একাধিক বিক্রিতা জানান, ক্রেতার অভাবে গরু বিক্রি করতে পারছেন না। যদিও বিক্রি হচ্ছে অনেক কম দামে। বর্তমানে তারা চোখে সর্ষেফুল দেখছেন। কারণ ক্রেতারা যে দাম বলছেন তাতে গরুপ্রতি কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
অমরপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেন বাদশা নামে একজন খামারি অভিযোগ করে বলেন, কাঁচা ঘাস, খড়, খৈল, খুদ, ফিড থেকে শুরু করে সবধরনের জিনিসের দাম গত বছরের তুলনায় বেশি। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বর্তমান বাজারে গরু বিক্রি করে তাদের লোকসান দিতে হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ীরা আরও জানান, আমরা প্রতি বছর গরু বিক্রির লাভের টাকা দিয়ে কোবরানির ঈদ পালন করে থাকি। কিন্তু এ বছর লাভ তো দূরের কথা পুঁজি ঘাটতি হচ্ছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ও ভেটেরিনারি সার্জন বিপুল কুমার চক্রবর্তী জানান,কোরবানির জন্য ষাড়,বলদ ও গাভী ১২ হাজার ২৩৮টি এবং ছাগল-ভেড়া ৬ হাজার ৭৬২টি। শুধু কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ছোট-বড় খামার ও বাড়িতে প্রস্তুত রয়েছে ১৯ হাজার পশু যা উপজেলার বিভিন্œ হাটে বিক্রি হবে। এখানে পালিত পশু দিয়ে উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে কমপক্ষে ৫-৬ হাজার গরু বাইরে বিক্রি করা হয়। উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ শুরু থেকে এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আসছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।