সকল মেনু

ইংল্যান্ডকে হারিয়ে বেলজিয়াম গ্রুপসেরা

ক্রীড়া ডেস্ক: বেলজিয়ামের উল্রাসের একটি মুহূর্ত।‘জি’ গ্রুপে ইংল্যান্ড-বেলজিয়াম দুই দলই শেষ ম্যাচের আগে অবস্থান করছিল সমান পয়েন্ট নিয়ে। তাই উত্তেজনার আঁচ পেতে মুখিয়ে ছিলেন ফুটবল ভক্তরা। সোনালী প্রজন্ম ধারণকারী বেলজিয়াম ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দিয়েছে ১-০ গোলে। তাতে গ্রুপ সেরা হয়েই নকআউটে নাম লেখালো তারা।দ্বিতীয় পর্বে বেলজিয়াম খেলবে জাপানের বিপক্ষে। আর ইংল্যান্ডের প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। বেলজিয়াম দুই অর্ধে এগিয়েই ছিল। যদিও ইংল্যান্ড রক্ষণে গিয়ে খেই হারিয়েছে প্রথমার্ধের আক্রমণ।দুই দলের শেষ ষোলো নিশ্চিত হওয়ায় নির্ভার ছিলেন দুই দলের কোচ। তাই বড় আকারেই পরিবর্তনের পথে হেঁটেছেন তারা। ৮ টি পরিবর্তন আনেন ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। শুরুর একাদশে রাখেননি প্রাণভোমরা হ্যারি কেইনকে। উল্টো দিকে বেলজিয়ামও পরিবর্তন আনে ৯টি। তাতে কপাল পুড়েছে ইংলিশদেরই। ম্যাচের শুরুতে দ্বিতীয় মিনিটে আক্রমণে ছিল ইংল্যান্ড। ডান প্রান্ত থেকে দারুণ পাসের যোগান হলেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

এই অর্ধে সবচেয়ে বড় সুযোগটা পায় বেলজিয়াম দশম মিনিটে। ১০ মিনিটে খুব কাছে চলে গিয়েছিল। জটলায় গোলমুখের কাছে বল পেয়ে যান বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড বাটশুয়াই। গোলরক্ষক বল ধরতে না পারলেও গোল লাইনের একেবারে কাছ থেকে বল ক্লিয়ার করেন ইংলিশ ডিফেন্ডার গ্যারি কাহিল। অল্পের জন্য এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করে বেলজিয়াম। ১৯ মিনিটে বাজে ট্যাকল করে হলুদ কার্ড দেখেন বেলজিয়াম মিডফিল্ডার টিলেমান্স।২৬ মিনিটে আবারও সুযোগ মেলে বেলজিয়ামের। ইংল্যান্ডের পেনাল্টি এরিয়ায় শট নিয়েছিলেন বাটশুয়াই। কর্নারের বিনিময়ে তার দিক পাল্টে দেন স্টোনস।এই অর্ধে বারবার আক্রমণ-প্রতিআক্রমণে গিয়েছিল দুই দল। বেলজিয়াম গোলের কাছে শট নেওয়ার সুযোগ বেশি পেলেও লক্ষ্যভেদ হয়নি এই অর্ধে।

 

বিরতির পর আক্রমণে ধার বাড়ায় বেলজিয়াম। তাতে ফল আসে ৫১ মিনিটে। টিলেমান্স নিজে শট না নিয়ে বল দেন ফরোয়ার্ড আদনান ইয়ানুজাইকে। দারুণভাবে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে ইংল্যান্ডের জাল কাঁপান তিনি।৬৬ মিনিটে সমতায় ফেরানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন রাশফোর্ড। বেলজিয়াম রক্ষণ ভেঙে প্রবেশ করে শট নিলেও গোলরক্ষকের ছোঁয়ায় তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

শেষ দিকে আর ব্যবধানে হেরফের হয়নি। বেলজিয়াম গ্রুপসেরার আনন্দ নিয়েই মাঠ ছাড়ে।ইতিহাস গড়া জয়ে তিউনিসিয়ার উল্লাসগ্রুপের অপর ম্যাচে একই সময় মুখোমুখি হয়েছিল পানামা ও তিউনিসিয়া। দু দলের বিদায় নিশ্চিত হওয়া ম্যাচটি ছিল আনুষ্ঠানিকতার। তাতে পানামাকে ২-১ গোলে হারিয়ে সান্ত্বনার জয় পেয়েছে তিউনিসিয়া। সান্ত্বনা বলা হলেও জয় দিয়ে ইতিহাস গড়েছে তিউনিসিয়া। ৪০ বছর পর বিশ্বকাপে ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলো দলটি। সবশেষ তারা ম্যাচ জিতেছিল ১৯৭৮ সালে, মেক্সিকোর বিপক্ষে। অথচ শুরুতে ৩৩ মিনিটে মেরিয়াহর আত্মঘাতী গোলের সুবাদে বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল এবারই বিশ্বকাপ খেলতে আসা পানামা। ৫১ ও ৬৬ মিনিটে গোল করে তাদের সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন ফরোয়ার্ড ইউসেফ ও ওয়াহবি খাজারি।এই গ্রুপে তিন ম্যাচে তিনটি জিতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে থেকে পরের পর্বে গেলো বেলজিয়াম। তিন ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ইংল্যান্ড। ৩ পয়েন্ট নিয়ে পরে তিউনিসিয়া। সব ম্যাচে হেরে সবার নিচে রয়েছে পানামা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top