বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামের দরিদ্র লুৎফর শেখের ছেলে মাসুম বিল্লাহ। দারিদ্রতা আর বেকারত্বের অভিষাপে দিন কাটছিল তার।
একটি চাকুরীর জন্য অনেকের কাছে ধর্না দিয়েও কোন কাজ হয়নি তার। এক সময় হতাশাগ্রস্ত মাসুম একটি চাকুরীর আসায় ছুটে আসে বাগেরহাট সদর আসনের এমপি এ্যাড. মীর শওকাত আলীর বাদশার কাছে। বেকারত্বের অভিষাপ থেকে মাসুমকে মুক্তি দিতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালান এমপি বাদশা।
তারই প্রোচেষ্ঠায় মাসুম ডেমা ইউনিয়নে কালিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নাইট গার্ডে চাকুরী পায়। চাকুরী পাওয়ার পর এমপি মীর শওকাত আলীর বাদশা মাসুমকে একই গ্রামের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মাফিয়া বেগম ও আব্দুস সালামের দৃষ্টিহীন কন্যা জেবা সামিহা মমতাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। এমপির প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে রাজি হয়ে যায় মাসুম বিল্লাহ।
গতকাল শুক্রবার বাগেরহাট পৌরসভার আমলাপাড়া এলাকায় অবস্থিত এমপি মীর শওকাত আলীর বাদশার বাড়ীতে ছিল অন্যরকম উৎসব। দরিদ্র মাসুম বিল্লাহ ও দৃষ্টিহীন কন্যা জেবা সামিহা মমতার বিয়ে উপলে এদিন সকালে এমপির বাড়ীতে ছিল উৎসবের আমেজ। পরে বাবার দায়িত্ব নিয়ে কন্যা সম্প্রদান করেন নব দম্পতিদের একটি সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সকলের কাছে দোয়া চান তিনি।
আর এমপির আমন্ত্রনে এদিন তার বাড়ীতে উপস্থিত ছিলেন, বাগেরহাট প্রেসকাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার, সাবেক সভাপতি বাবুল সরদার, সাবেক সাধারন সম্পাদক আলী আকবর টুটুলসহ জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এমপি মীর শওকাত আলী বাদশা বলেন, বেকারত্বের অভিষাপ থেকে একটি যুবক ছেলে মুক্তি দিয়ে আর এক অসহায় দৃষ্টিহীন কন্যা জেবা সামিহা মমতার বিয়ে দিয়ে আমি আনন্দিত। নব দম্পত্তি দু’জনই আমার সন্তানের মত সবাই তাদের জন্য দোয়া করবেন।
নববধূ জেবা সামিহা মমতার মাতা ইউপি সদস্য মাফিয়া বেগম বলেন, মেয়ের দৃষ্টিশক্তি না থাকার কারনে তার ভবিষৎত নিয়ে দূশ্চিন্তায় ছিলাম। এমপি সাহেব তার বাবার দায়িত্ব পালন করছেন। আজ আমার পরিবারে সবাই খুব খুশি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।