রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙামাটিতে এই প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ-এর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও মেধাবৃত্তিপ্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করে। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শতাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতিবৃত্তি প্রদান করেন। রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ মেহমান ছিলেন রাঙামাটি সদর সেনা জোনের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ রেদওয়ানুল ইসলাম, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) রাঙামাটি সদর সেক্টর কমান্ডারের প্রতিনিধি ক্যাপ্টেন অরিজিৎ কুন্ডু। প্রধান আলোচক ছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা ও পরিচালক ইয়াছিন রানা সোহেল।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আগামী নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম জাগিয়ে মুক্তযুদ্ধের চেতনায় ও আদর্শে গড়ে তোলার আহবান জানান এবং প্রতিবছর বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের শাহাদাৎ বার্ষিকীতে তিন পার্বত্য জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে দিবসটি পালনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহবান জানানো হয়।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার আলোচনা সভা শুরুর পূর্বে বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার স্নিগ্ধা চাকমা, জেলা সহকারি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মফিজুল ইসলাম, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি রনতোষ মল্লিক, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক নজির আহমদ তালুকদার, কাউখালী উপজেলা প্রতিনিধি আসলাম রেজা। উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের ক্রেস্ট স্পন্সর ওয়ালটন প্লাজা রাঙামাটির ম্যানেজার মোঃ আকতারুজ্জামান, ব্যবসায়ী মোঃ শফিউল আজমসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকগণ।
কামরুল হাছান রাজিব ও মেরেলিন এ্যানীর পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোক্তা পরিষদ সদস্য অর্নব বড়ুয়া।
উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ২০ এপ্রিল রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাটে চেঙ্গী খালের পাড়ে পাকিস্তানি শত্রুবাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে বীর দর্পে লড়াই করে শহীদ হয়েছিলেন তৎকালিন ইপিআরের ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ উপাধিতে ভুষিত করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।