বাংলা চলচ্চিত্রের কালজয়ী অভিনেতা সালমান শাহ্। নব্বই দশকের গোড়ার দিকে যার আভির্ভাব। চলচ্চিত্রে তার ক্যারিয়ার হাতে গোনা মাত্র চার/সাড়ে চার বছর। অথচ সামান্য এই সময়েই তিনি নিজস্ব স্টাইল, ফ্যাশন আর অসাধারণ অভিনয়ে মন্ত্র মুগ্ধ করে রেখেছিলেন চলচ্চিত্র প্রেমীদের। তমুল জনপ্রিয় অবস্থাতেই অকাল প্রয়াত হন। তার মৃত্যুর বিষয়টি আজও মানুষের কাছে বিরাট রহস্যের! কিন্তু হঠাৎ করেই সালমানের মৃত্যু রহস্যটি নতুন মোড়ক পেলো এক নারীর ভিডিও বার্তায়!
হ্যাঁ। ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহকে নিজের ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেলেও ঘটনা নেহায়েত আত্মহত্যা ছিলো না। এমনটি সেই শুরু থেকেই দাবি করে আসছিলো তার পরিবার। দীর্ঘ একুশ বছর ধরে সালমানের মৃত্যুরহস্যটি নিয়ে দৌড়েছেন তার মা নীলা চৌধুরী। যখন কোনো কুলকিনারা করে ওঠতে পারছিলেন না, ঠিক তখনই ৭ আগস্ট সোমবার সুলতানা রুবি নামের একজন নারী যুক্তরাষ্ট্র থেকে সোশাল সাইটে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান। যেখানে তিনি স্বীকারোক্তি দেন যে, সালমান আত্মহত্যা করেনি। তাকে খুন করা হয়েছে। আর এই খুনের সঙ্গে কারা কারা ছিলো, তাদেরও নাম বলেন রুবি।
পুরনো খবরে প্রকাশিত সালমান শাহকে হত্যা মামলার মধ্যে সাত নম্বর সন্দেহভাজন আসামি হচ্ছেন এই সুলতানা রুবি। আর এই নারীর এমন স্বীকারোক্তিকে আমলে নিয়েছে দেশের আইন আদালত। এমনকি এই ভিডিওটি আমলে নিয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা। চাঞ্চল্যকর এই ভিডিওটি দেখার পর দেশের মিডিয়াও গুরুত্বসহকারে সংবাদ পরিবেশন করেছে। কেনোনা, বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে ‘সালমান শাহ’ নামটি একটি আবেগের!
আর এই আবেগে ভাসলেন বর্তমান প্রজন্মের চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরীও। নিজেকে সালমান ভক্ত দাবী করে চিত্রনায়ক বাপ্পীও সালমান শাহ’র খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন। রুবির ভিডিটি দেখার পর বাপ্পী তার ফেসবুকে জানান, প্রিয় এই নায়কের মৃত্যুতে যে মামলাটি করেছিলো তার পরিবার, সেই মামলার ৭ নম্বর আসামী রাবেয়া সুলতানা রুবি একটি ভিডিও বার্তায় বলেছেন, সালমান আত্মহত্যা করেননি। তাকে খুন করা হয়েছিলো। একজন চলচ্চিত্র কর্মী ও সালমানপ্রেমী হিসেবে আমি চাইবো এই ভিডিওকে সূত্র হিসেবে ধরে ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। সত্যি যদি খুন হয়ে থাকেন সালমান শাহ, তার খুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিয়ে শান্তি দেয়া হোক সালমানের বিদেহি আত্মার।
শুধু বাপ্পী নয়, অভিনয় জগতের প্রত্যেকটি মানুষ রুবির পাঠানো ভিডিও বার্তাটি দেখে হতবিহ্বল। তারা প্রত্যেকেই চাইছেন, যেনো রুবির পাঠানো ভিডিওটিকে সালমান হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ স্বীকারোক্তি হিসেবে মূল্যায়ন করা হোক। এবং সালমানের খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।