হবিগঞ্জের বানিয়াচঙ্গে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল ইসলাম জিলকী (৩০) নামে এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। এসময় ডাকাতদের আক্রমে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং ৩ ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশ সদস্যদের বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত ডাকাত জিলকী বানিয়াচং উপজেলার মাতারিটোলা গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বুধবার দিবাগত মধ্য রাতে বানিয়াচং থানা পুলিশ উপজেলার ইছুবপুর থেকে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম জিলকী ও তার সহযোগী মন্তাজ মিয়াকে গ্রেফতার পুলিশ। এসময় ডাকাত সর্দারসহ দুই জনকে গ্রেফতার করা হলেও অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যায়। পরে ডাকাত সর্দার জিলকীর দেওয়া তথ্যমতে একই উপজেলার বানিয়াচং-শিবপাশা সড়কের আঞ্জন নামক স্থানে ভোর রাতে অন্যান্যদের ডাকাতদের ধরতে গেলে তাদের সহযোগিরা পুিলশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ে। এতে ডাকাত সর্দার সাইফুল ইসলাম জিলকীসহ পুলিশ সদস্য এএসআই প্রদ্বীপ কুমার দাস, এএসআই হারুন, এএসআই বিশ্বজিৎ ও এএসআই কানন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় জিলকীকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১টি পাইপগাণ, ৩ রাউন্ড কার্তুজ, গুলির ৮টি খোসা ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত অন্যান্য ডাকাতরা হল, বানিয়াচং উপজেলার আতুকুড়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের পুত্র আজম মিয়া (৩৫) ও একই উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের পাহারপুর গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র মনু মিয়া (৩৩) ও যাত্রাপাশা গ্রামের কুদ্দুছ মিয়ার পুত্র মন্তাজ মিয়া (৪০)।
এব্যাপারে বানিয়াচং-আজমীরীগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৌলেন চাকমা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত ডাকাত সাইফুল ইসলাম জিলকী একজন কুখ্যাত ডাকাত। তার বিরুদ্ধে ১টি হত্যা মামলা, ৪টি ডাকাতি মামলাসহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।