হটনিউজ ডেস্ক : রাঙামাটির লংগদু উপজেলার যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়ন হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রবিবার দুপুর ১টার দিকে খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দি দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন- জুনেল চাকমা (৩৩) ও রুনেল চাকমা (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, আজ রবিবার দুপুর ১টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে পৃথক পৃথকভাবে জুনেল ও রুনেল চাকমা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে শুনেছি। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত অপর আসামি বাবু রাজ চাকমাকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
এর আগে গতকাল শনিবার ১০ দিনের মাথায় নয়ন হত্যার রহস্য উদঘাটন, দু’জনকে গ্রেফতার, নয়নের মোটর সাইকেল ও হেলমেট এবং মোবাইল উদ্ধার করে পুলিশ। রাঙামাটির কাপ্তাই থেকে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি উইনিট, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন টিমের সদস্যরা মিলে প্রায় ৩ ঘন্টার অভিযানের পর মাইনী নদী হতে নয়নের মোটর সাইকেল ও হেলমেট উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১লা জুন লংগদু উপজেলার নুরুল ইসলাম নয়নের মোটর সাইকেল লংগদু হতে খাগড়াছড়িতে ভাড়ায় এনে খাগড়াছড়ি সদরের চারমাইল এলাকায় নয়নকে লোহার রড় দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয় তিন পাহাড়ি যুবক। পরে পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদের মাঝে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে মোটর সাইকেলটি দিঘীনালা উপজেলার মাইনী নদীতে ফেলে দেয় তারা। একইদিন এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত নুরুল ইসলাম নয়নের ভাই দীন ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যাক্তিদের বিরূদ্ধে খাগড়াছড়ি সদর থানায় মামলা দায়ের করে।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছেন দিঘীনালা উপজেলার পাকুজ্যাছড়ি এলাকার রমেল চাকমা ও রাঙামাটির লংগদু উপজেলার জুনেল চাকমা। তাদের সাথে বাবুরাজ চাকমা নামে আরো একজন ছিল, তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। বাবুরাজের বাড়ি খাগড়াছড়ির দিঘীনালায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।