সকল মেনু

এক নিঃসঙ্গ শেরপার ঘরে ফেরা

আবদুল মান্নান, হটনিউজ২৪বিডি.কম : প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালের ১৭ মে এক জটিল ও অনিশ্চিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দেশে ফিরেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশে থাকলে ঘাতকরা তাঁদেরও যে হত্যা করত তাতে কোনো সন্দেহ ছিল না। যে ঘাতকরা শিশু রাসেলকে হত্যা করতে পারে তাদের পক্ষে সব কিছুই সম্ভব ছিল। ঘটনাচক্রে ১৯৭৪ সাল থেকে শেখ হাসিনা জার্মানিতে গবেষণারত তাঁর স্বামী বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে ছিলেন বলে তিনি ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। অনেকটা বঙ্গবন্ধুর পরামর্শেই শেখ হাসিনা ছোট বোন শেখ রেহানাকে জার্মানি যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। দেশত্যাগের সময় শেখ হাসিনা একটি একান্নবর্তী পরিবার রেখে গিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট ঘাতকরা তাঁর সেই পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। এই কাজটির পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই বঙ্গবন্ধুর একান্ত বিশ্বাসভাজন ছিল। বঙ্গবন্ধুর জীবন-পরিক্রমা অনুসরণ করলে বোঝা যায়, তিনি সহজে কোনো বাঙালিকে অবিশ্বাস করতেন না। সেটিই তাঁর জন্য কাল হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাঁর দুই কন্যা জার্মানি থেকে লন্ডনে হাজির হন এবং এরপর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমন্ত্রণে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে চলে আসেন। ইন্দিরা গান্ধী বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যাকে মাতৃস্নেহ দিয়ে ১৯৮১ সালে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত শুধু আগলেই রাখেননি, পরিবারের সবার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন এবং ড. ওয়াজেদ মিয়ার গবেষণাকর্ম যাতে ব্যাহত না হয় তারও ব্যবস্থা করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই সপরিবারে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা নভেম্বর মাসে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করারও চেষ্টা করে। এই চার নেতাই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল তারা সবাই পাকিস্তানকে নিজেদের দেশ মনে করত এবং তাদের সেই পাকিস্তান ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দায়ী করত। এই ঘাতকদের অনেক উত্তরসূরি এখনো বাংলাদেশে বহাল তবিয়তে আছে এবং কেউ কেউ রাজনীতিতেও বেশ সক্রিয়। শীর্ষস্থানীয় ঘাতকদের প্রায় সবাইকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়া বিদেশের দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করে পুরস্কৃৃত করেছিলেন। কর্নেল রশিদের মতো আত্মস্বীকৃত খুনিকে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী তামাশার মাধ্যমে বেগম জিয়া সংসদে প্রবেশ করার সুযোগ করে দেন। এর আগে জেনারেল এরশাদ আরেক ঘাতক কর্নেল ফারুক রহমানকে দেশে ফিরে ফ্রিডম পার্টি নামের একটি রাজনৈতিক দল করার অনুমতি দেন এবং ফারুক রহমান বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

শেখ হাসিনা সপরিবারে দিল্লিতে অবস্থান করলেও জিয়া তাঁর দেশে ফেরার ওপর অলিখিত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলেন। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনা দিল্লি থেকে দেশে না ফেরা পর্যন্ত ঢাকা দিল্লি থেকে অনেক দূরে রয়ে যায়। আক্ষরিক অর্থেই শেখ হাসিনা তখন একজন রাষ্ট্রহীন মানুষ (stateless)। আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্বের অভাবে দলটি অস্তিত্বের সংকটে পড়ে। যদিও দলের অগণিত কর্মী-সমর্থক তখনো মনে করত, কোনো একদিন বঙ্গবন্ধু পরিবারের দুই কন্যার কেউ একজন যদি ফিরে এসে দলের হাল ধরেন তাহলে দলটি আবার পুনরুজ্জীবিত হতে পারে। কিন্তু জিয়া সরকারের বাধার কারণে তখন তা হওয়া সম্ভব ছিল না। এ অবস্থায় দল তখন অনেকটা ছত্রভঙ্গ। সুবিধাবাদীদের অনেকেই এই সময়ে জিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকারে বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। বামপন্থীদের কেউ কেউ জিয়ার পেছনে কাতারবন্দি হয়েছেন। দু-একজন মন্ত্রিসভায়ও স্থান করে নিয়েছেন। তখন অনেকের ধারণা ছিল, আওয়ামী লীগের কালের গর্ভে বিলীন হওয়াটা সময়ের ব্যাপার। দলের অভ্যন্তরে কোন্দল তখন বেশ জাঁকিয়ে বসেছে। একদল চায় বাকশাল থাকুক আবার অন্য দল চায় আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করা হোক। এতে দলের কর্মী-সমর্থকরা তখন বেশ হতাশ। ঠিক এই সময়, ১৯৮১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি, দলের কিছু নেতা কাউন্সিল সভা আহ্বান করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদের স্ত্রী বেগম জোহরা তাজউদ্দীন, আবদুল মালেক উকিল, ড. কামাল হোসেন, সাজেদা চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ প্রমুখ। তাঁরা সবাই বঙ্গবন্ধুর ছায়াতলে তাঁদের রাজনৈতিক জীবন শুরু করেছিলেন। কাউন্সিল আহ্বানকারীরা উপলব্ধি করেন, সত্যিকার অর্থে আওয়ামী লীগকে কার্যকরভাবে পুনরুজ্জীবিত করতে হলে প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকার তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। সেই কাউন্সিলেই ড. কামাল হোসেন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনার নাম প্রস্তাব করেন এবং এই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়। কয়েকজন সিনিয়র নেতা ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখ দিল্লিতে গিয়ে শেখ হাসিনাকে কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত অবহিত করেন। শেখ হাসিনা উপলব্ধি করেন তাঁর পিতা যে দলকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন, যে দলের জন্য পাকিস্তানের ২৩ বছরের শাসনামলে অসংখ্যবার জেলে গেছেন, যে দলের জন্য জীবন দিয়েছেন সেই দলকে বাঁচানো তাঁর নৈতিক দায়িত্ব। তিনি দলের দায়িত্ব নিতে রাজি হন, যদিও জাতীয় রাজনীতি সম্পর্কে সে সময় শেখ হাসিনার তেমন কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না। তিনি ছাত্ররাজনীতি করেছেন, কিন্তু ছাত্রলীগের কোনো পদ-পদবিতে কখনো অধিষ্ঠিত ছিলেন না। তাঁর সময় আওয়ামী লীগে এতসব বড় মাপের রাজনীতিবিদ ছিলেন যে তাঁর পক্ষে এই দলের রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়া কল্পনাতীত ছিল। এখন তো আওয়ামী লীগের রাজনীতি সম্পর্কে কোনো ধারণা না থাকলেও দলের একটি পদ বাগানোর যে দৌড়ঝাঁপ দেখা যায় তা অসম্ভব রকমের দৃষ্টিকটু ঠেকে। এসব নব্য নেতার অনেকেই দলের আদর্শের প্রতি যত না অঙ্গীকারবদ্ধ, তার চেয়ে দলের নাম পুঁজি করে নিজেদের স্বার্থ আদায়ে বেশি ব্যস্ত। এঁরা কথায় কথায় বঙ্গবন্ধুর নাম বিক্রি করে নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের ধারক বলে জোর গলায় প্রচার করেন, কিন্তু স্বাধীনতাবিরোধীদের সঙ্গে হাত মেলাতে দ্বিধা করেন না। তার উত্কৃষ্ট প্রমাণ এক-এগারো পরবর্তী ঘটনাগুলো।

বঙ্গবন্ধুকন্যা দলের দায়িত্ব নিয়ে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সন্দেহ ছিল। অনেকে মনে করেছিলেন, দেশে ফিরলে শেখ হাসিনা গ্রেপ্তার হতে পারেন। তাঁকে হত্যা করাটাও অসম্ভব ছিল না। ফিলিপাইনের গণতন্ত্রবাদী নেতা বেনিগনো একিনো তিন বছর যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসন জীবন শেষে দেশে ফিরলে দেশটির একনায়ক ফার্দিনান্দ মার্কোসের ঘাতকরা ম্যানিলা বিমানবন্দরে ১৯৮৩ সালের ২১ আগস্ট গুলি করে হত্যা করে। ১৯৮৬ সালে এক গণ-অভ্যুত্থানে মার্কোস ক্ষমতাচ্যুত হন এবং যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। পরে একিনোর স্ত্রী কোরাজন একিনো সে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। মার্কোসের সঙ্গে জিয়ার অনেক মিল আছে। ১৯৮১ সালের ১৭ মে যখন শেখ হাসিনা দেশে ফিরবেন বলে ঘোষণা করা হয়, তখন দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে এক অভূতপূর্ব প্রাণচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফেরার দিনে সকাল থেকে ঢাকার রাজপথ দলের কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষের পদভারে প্রকম্পিত হতে শুরু করে। চারদিকে শুধু ‘জয় বাংলা’ স্লোগান, যে স্লোগান এত দিন অনেকটা অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ ছিল। পড়ন্ত বিকেলে দিল্লি থেকে বিমানযোগে যখন শেখ হাসিনা তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছান, তখন ঢাকার বাতাস বৃষ্টিভেজা আর চারদিকে মৃদু বাতাস বইছে। মনে হচ্ছিল শেখ হাসিনাকে স্বদেশের মাটি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বরণ করে নিচ্ছে। বিমানবন্দরের চারদিকে তখন লাখো মানুষের ভিড়। ১৯৭৪ সালে যখন বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশ ছেড়েছিলেন তখন তাঁর সব ছিল। আর সাড়ে ছয় বছর প্রবাসজীবন কাটিয়ে যখন দেশে ফিরলেন তখন তাঁর পরিবারের সদস্য বলতে কেউ জীবিত নেই। সেই আগস্টের এক কালরাতে ঘাতকরা পরিবারের ১৮ জন সদস্যকে হত্যা করে।

ফিরে এসে তিনি ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে যেতে চাইলে সরকার তাতে বাদ সাধে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সামনের রাস্তায় বসে পরিবারের সদস্যদের জন্য মিলাদ পড়াতে হয়। যে দলের দায়িত্ব নিয়ে তিনি দেশে ফিরেছেন সেই দলের তখন ছত্রভঙ্গ অবস্থা। তবে সব সময়ের মতো দলের প্রাণশক্তি ছিল তৃণমূল কর্মীরা। আওয়ামী লীগের তৃণমূল কর্মীরা সব সময় এই দলকে বাঁচিয়ে রেখেছে, বিনিময়ে কোনো দিন কিছু চায়নি। শেখ হাসিনা পিতার মতো উপলব্ধি করেছিলেন শক্তিশালী দল না থাকলে খুব বেশি দূর এগোনো সম্ভব নয়। দলকে চাঙ্গা করার জন্য যে মাপের নেতৃত্ব প্রয়োজন সেটি তখন আওয়ামী লীগে অনুপস্থিত ছিল। এর মধ্যে আবার দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মহিউদ্দিন আহমদ, আবদুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের চেয়ে বাকশাল পুনর্গঠনকে অনেক বেশি শ্রেয় মনে করেছিলেন এবং আওয়ামী লীগ থেকে বের হয়ে বাকশাল পুনর্গঠনে মনোযোগী হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার জন্য সে এক কঠিন সময়। মনে হচ্ছিল বরফ আচ্ছাদিত পর্বতশৃঙ্গে তিনি একজন নিঃসঙ্গ শেরপা। দলের এই ক্রান্তিকালেও শেখ হাসিনা ভেঙে পড়েননি। আত্মবিশ্বাস নিয়ে দলকে পুনর্গঠন করতে এগিয়ে গেছেন। তাঁর অদম্য সাহস, ধীশক্তি, ধৈর্য আর দূরদৃষ্টির কারণে আশির দশকের মাঝামাঝি আওয়ামী লীগকে তিনি আবার একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিতে সক্ষম হন। দলের সাংগঠনিক শক্তির পরীক্ষা হয় এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়। এটি সত্য, এরশাদবিরোধী আন্দোলন প্রথমে শুরু করেছিল বেগম জিয়ার নেতৃত্বাধীন সাতদলীয় জোট। কিন্তু কিছুতেই সেই আন্দোলনে হাওয়া লাগছিল না। যখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৫ দলীয় জোট এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত হয় শুধু তখনই এরশাদের পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের প্রথম বড় ধরনের বিজয় ছিল এরশাদের পতন। কিন্তু ১৯৯১ সালের নির্বাচনে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল বিএনপি-জামায়াতের ঐক্যজোটের কাছে আওয়ামী লীগের অপ্রত্যাশিত পরাজয় ছিল দলের জন্য এক বিরাট ধাক্কা। অথচ ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিএনপির পক্ষে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার মতো প্রার্থী ছিল না। সেই নির্বাচনে বিএনপি বেশ চাতুর্যের সঙ্গে জামায়াতের সঙ্গে আঁতাত করেছিল। এই পরাজয়ে এটি প্রমাণিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ প্রতিপক্ষের নির্বাচনে বিজয়ের পেশাদারি কৌশলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কৌশল তৈরিতে পিছিয়ে ছিল। এই বিপর্যয় থেকে ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগকে টেনে তুলে সরকার গঠনের সিংহভাগ কৃতিত্ব শেখ হাসিনার।

দীর্ঘ নির্বাসন শেষে একজন নিঃসঙ্গ শেখ হাসিনা আর ২০১৭ সালের শেখ হাসিনার মধ্যে অনেক তফাৎ। এখন রাজনৈতিকভাবে তিনি অনেক পরিপক্ব। তিনি এখন বিশ্বমোড়লদের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে পারেন। বিশ্বব্যাংকের বাধা অতিক্রম করে নিজ অর্থে পদ্মা সেতু বানানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। আন্তর্জাতিক মহলে তিনি এখন শুধু একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীই নন, একজন সম্মানিত রাষ্ট্রনায়কও বটে। তবে সব শেষে তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা, বাবার আদুরে কন্যা ‘হাচু’। এ দেশের কোটি মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। মানুষের প্রত্যাশা, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত শেখ হাসিনা জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকুন। শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। (কালের কণ্ঠ)

লেখক : বিশ্লেষক ও গবেষক

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top