সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের গোলাগুলির ছবি তুলতে গিয়েই সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুল প্রাণ হারিয়েছেন বলে তার ভাই মকবুল হোসেন অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষের সময় গুলিবর্ষণের ছবি তোলার কারণেই মেয়রের ভাই পিন্টু শিমুলের মাথায় গুলি করে।’
শিমুলের ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরু বলেছেন, ‘আমি ওকে টার্গেট করবো কেন। ও আমার প্রিয় পাত্র। গুলি নয়, আমার প্রতিপক্ষের ছোড়া ককটেলের আঘাত লেগেছিল তার। আমি তো ফাঁকা গুলি করেছি।’
তবে শিমুলের মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে। সুরতহাল শেষে সিরাজগঞ্জ থানার ওসি রেজাউল হক জানিয়েছেন, শিমুলের মাথার পেছন থেঁতলে গেছে। এছাড়া তার মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুর শটগানের গুলিতে সাংবাদিক শিমুল আহত হন। শুক্রবার ঢাকায় নেওয়ার পথে দুপুরে তার মৃত্যু হয়।
প্রসঙ্গত, শাহজাদপুরের দিলরুবা বাস টার্মিনাল থেকে উপজেলা সদর পর্যন্ত রাস্তার কাজ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কালিবাড়ি এলাকায় শাহজাদপুর পৌর মেয়র মিরুর ছোট ভাই হাসিবুল ইসলাম পিন্টু পৌর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ভিপি রহিমের শ্যালক ছাত্রনেতা বিজয়কে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার হাত-পা ভেঙে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে দলের কর্মী-সমর্থক ও তার মহল্লা কান্দাপাড়ার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে দিলরুবা বাস টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। এ অবস্থায় অবরোধকারীদের একটি অংশ ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরামপুর এলাকায় অবস্থিত পৌর মেয়রের বাড়ি ঘিরে ইট-পাটকেল মারতে থাকে। এসময় মেয়র তার নিজের শটগান দিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সমকালের প্রতিনিধি শিমুলের মাথায় ও মুখে গুলি লাগে। এতে গুরুতর আহত হন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।