সকল মেনু

চিরিরবন্দরে ১৮ হাজার ৪৩৭ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বোরো আবাদ শুরু

 চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) সংবাদদাতা: দিনাজপুরের বৃহতম উপজেলা চিরিরবন্দরে বোরো আবাদ শুরু। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার  প্রয়োগ, বীজচারা উঠানো, ও প্রস্তুতকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছে কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর চিরিরবন্দর উপজেলার ১৬ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে উপসি এবং ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে হাইব্রীড জাতের বোরে চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।যার গড় লক্ষমাত্রা ১৮হাজার ৪৩৭ হেক্টর। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন এর অর্জিত ২৩ হাজার হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে। আকস্মিক কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে উপজেলার কৃষকরা এবার ব্যাপক লাভবান হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

গত মৌসুমের আমন ধানের ভাল ফলন প্রতি একরে প্রায় ৬০মন ও মূল্য প্রতিমন ৮শ থেকে ৯শ’ টাকা পেয়ে কৃষকদের বোরো আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। উপজেলার সাতনালা ইউপির মাষ্টারপাড়া গ্রামের আদর্শ কৃষক জাকির হোসেন, মতিয়ার রহমান, মাষ্টার শাহীনুর ইসলাম, আলোকডিহি ইউপির গছাহার গ্রামের জিয়াউর রহমান ,কমল চন্দ্র নশরতপুর ইউপির কালিতলা গ্রামের নাজমুল, মামুন, ইসবপুর ইউপির বাবলু, মতিউর রহমান ও নজরুল ইসলাম জানান, গত আমন মৌসুমে ব্রী-জাতের সোনার বাংলা,ব্রী-আঠাশ, ব্রী-৫১, জিরা ধানের ফলন ও বাজারমূল্য ভাল পাওয়ায় চলতি বোরো মৌসুমেও এগুলির আবাদ করতে তারা বেশী আগ্রহী। তাছাড়া এবছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় বোরো চারাও বেশ ভাল হয়েছে। চিরিরবন্দরের ধানের ফলন এ অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত হয়ে থাকে। কৃষি সম্পসারণ বিভাগের সঠিক পরামর্শ ও তদারকি, কৃষকদের প্রশিক্ষণ, পরিমিত এবং যথাসময়ে সেচ-সার ও বালইনাশক প্রয়োগ করলে বোরোধানের ফলন আমন ধানের চেয়ে কম হবেনা বলে কৃষকরা আশা করছে। গ্রাম বাংলার প্রবাদ বাক্যে খনার বচণে প্রচলিত আছে-“আশায় খাটে চাষা”। দেখা যাক খনার বচন সত্যি হয়কিনা।

কৃষি কর্মকর্তা বি.এস.এস মো: শরিফুল ইসলাম বলেন , এবারে বীজতলা তৈরিতে তেমন কুয়াশার প্রভাব না থাকায় বোরো বীজতলায় কোনো প্রকার রোগবালাই নেই। কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে ইরি-বোরো চারা রশি দিয়ে টেনে লাইন লাইন করে রোপণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা কম থাকে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: মাহমুদুল হাসান জানান, এবছর চিরিরবন্দর উপজেলায় বোরো মৌসুমে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলনশীল বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। কৃষকরা সঠিক পরিচর্যা করে বীজতলায় বোরো চারাকে সবল ও সতেজ করে রেখেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top