সকল মেনু

যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকিংয়ে পুতিন ‘ব্যক্তিগতভাবে’ জড়িত: দাবি মার্কিন গোয়েন্দাদের

8db7f9cf05798e8627a65d20e4f617b5-585250ffafd78হটনিউজ২৪বিডি.কম : যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার অংশ হিসেবে যেসকল হ্যাকিং হয়েছে তার সঙ্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ‘ব্যক্তিগতভাবে জড়িত’ বলে বিশ্বাস করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এমনটাই দাবি করেছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান।

এ হ্যাকিং-এর ঘটনাসংক্রান্ত তথ্যের ব্যাপারে জানাশোনা রয়েছে এমন দুইজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এনবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে কিভাবে বিভিন্ন উপকরণ হ্যাক করতে হবে এবং তা ফাঁস করতে হবে-ব্যক্তিগতভাবে সে নির্দেশনা দিয়েছিলেন পুতিন।

এনবিসির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘গোয়েন্দা কর্মকতারা বিশ্বাস করেন, এ নতুন মূল্যায়নের ব্যাপারে তাদের ‘উচ্চ পর্যায়ের আস্থা রয়েছে’।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-এর এক মূল্যায়ন তুলে ধরা হয়েছিল। সেখানে বলা হয়েছিল, ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ইমেইল হ্যাক করেছিল রাশিয়া। মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, রুশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জড়িত যেসব ব্যক্তি উইকিলিকসের হাতে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্যদের হাজার হাজার নথি তুলে দিয়েছিলেন, তাদেরও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা শনাক্ত করতে পেরেছে। ওই কর্মকর্তাদের দাবি, যেসব ব্যক্তি ওই কথিত হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত, তারা নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারির সমালোচনা সামনে এনে রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্পের জয়ের পথ সুগম করার কাজ করছিলেন।

২০১১ সালে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত সংসদীয় নির্বাচনের বিশুদ্ধতা নিয়ে সেসময়কার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি প্রকাশ্যে যে প্রশ্ন তুলেছেন তার জন্য কখনও তাকে নাকি ক্ষমা করতে পারেননি পুতিন। এ নিয়ে হিলারি বিক্ষোভকারীদের উসকানি দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ করে আসছেন তিনি।

এনবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন হিলারির বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সন্দেহমূলক সেইসব হ্যাকিং-এর কাজ শুরু করেছিলেন পুতিন। কিন্তু পরবর্তীতে তা বিশ্বের কাছে মার্কিন রাজনীতিকে দুর্নীতিগ্রস্ত হিসেবে তুলে ধরার কাজে ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

ওই দুই গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাতে এনবিসি নিউজ আরও জানায়, পাল্টা জবাবের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পুতিনের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ব্যাপারে তদন্ত জোরালো করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

অবশ্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ট্রাম্প বরাবরই রাশিয়ার হ্যাকিং সম্পর্কিত অভিযোগ খারিজ করে আসছেন। এর আগে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া কোনও ধরনের হস্তক্ষেপের চেষ্টা করেছে বলে তিনি মনে করেন না। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা এসব অভিযোগকে তিনি ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলেও উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবি, রাশিয়া ওই তথ্য হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করে উইকিলিকসের কাছে হস্তান্তর করেছে। উইকিলিকস প্রতিনিয়ত ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারিকে অপদস্ত করার জন্য তথ্য প্রকাশ করে আসছে বলে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।

অপর এক জ্যেষ্ঠ গোয়েন্দা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট জানায়, রুশ কর্তৃপক্ষ যে উইকিলিকসের কাছে ওই হ্যাকিংয়ের শিকার হওয়া ইমেইল তুলে দেয়, তার কোনও নিশ্চিত প্রমাণ গোয়েন্দাদের হাতে নেই।

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সম্পাদক জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, ডেমোক্র্যাটিক পার্টির ইমেইল ফাঁসের ক্ষেত্রে রুশ সরকার তাদের উৎস ছিল না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top