ভোলা প্রতিনিধি: ভোলা মাসুমা খানম বালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী গুরুত্বর অস্স্থ্যু ফারিয়া জাহান তমা, চিকিৎসার অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। অপারেশনের জন্য সাত লক্ষ টাকা সহ যাবতীয় খরচ বাবদ ৭/১০ লক্ষ টাকা লাগবে। গরীব অসহায় বাবা-মা তমার চিকিৎসার খরচ যোগাতে পারছে না।
ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা নিবাসী আবি আবদুল্লাহ কান্না জড়িত কন্ঠে আলাপ কালে জানান তার মেয়ে তমার জ্জ বৎসর বয়সে হার্টে ছিদ্র ও রক কাটা রয়েছে ধরা পড়ে। এজন্য তার চিকিৎসার জন্য প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হলে সেখান থেকে ডাক্তারা শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ওখানকার ডাক্তারগণ তমার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা হার্ট ফাউন্ডেশনে পাঠান। হার্ট ফাউন্ডেশন এর চিকিৎসক ডাক্তার ফরিফুজ্জামান ও ডাক্তার মোঃ ইলিয়াস পাটোওয়ারী তার চিকিৎসা করে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তাকে বিদেশ নিয়ে অপারেশন সহ উন্নত চিকিৎসা করার জন্য পরামর্শ দেন। চিকিৎসকদ্বয় বলেন তার অপারেশন ঝুকিপূর্ণ ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা সম্ভব নয়। তাই বিদেশ নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তমার বাবা আবি আবদুল্লাহ ও মা লাভলী বেগম আরো জানান মেয়ে গুরুতর অসুস্থ্য তার কথা জেনে দিশেহারা হয়ে আছেন এবং সেই থেকে চিকিৎসা বাবদ সয়সম্ভল যাহা ছিল তা বিক্রি করে প্রায় সাত, আট লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। জায়গা জমি সব বিক্রি করে তার চিকিৎসা চালাতে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন। বাবা আবদুল্লাহ বড় হোটেল ব্যবসা ছেড়ে বর্তমানে একটি চায়ের দোকান করে স্ত্রী সন্তান সহ তার চিকিৎসা ব্যয় চালাচ্ছেন। এমনই অবস্থায় কী করে বিদেশ নিয়ে তমার চিকিৎসার জন্য ৭/৮ লক্ষ টাকা খরচ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না। ব্যয়বহুল অপারেশন সহ প্রায় দশ লক্ষ টাকা খরচ লাগবে তমার চিকিৎসার জন্য। মেধাবী শিক্ষার্থী তমার সুস্থ্যতার জন্য তিনি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও প্রশাসনের কাছে আর্থিক সহায়তা কামনা করছেন। যে ব্যক্তি বা যেসব প্রতিষ্ঠান তমার চিকিৎসার জন্য সাহায্যে করবেন বা পাঠাবেন তারা ন্যাশনাল ব্যাংক ভোলা শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নং-৩৪০১৬৬১৬ নাম্বারে আর্থিক সাহায্যো পাঠানোর অনুরোধ করছেন তার বাবা আবি আবদুল্লাহ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।