সকল মেনু

প্রতারণার অপর নাম তিয়ানশি

jessore map.GIF_3186রিপন হোসেন, যশোর থেকে:তিয়ানশি বাংলাদেশ কো: লি: নামে একটি মাল্টিলেবেল মার্কেটিং কোম্পানির নামে প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে যশোরে জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এর আদালতে। মামলায় আসামি করা হয়েছে কোম্পানির ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মি: স্টাফেন ঝাউকে। আর এ মামলাটি করেছেন যশোর শহরের বারান্দীপাড়ার মুনসুর আলী শেখের ছেলে এবং তিয়ানশি কোম্পানির সদস্য সোহরাব হোসেন। মামলায় বিজ্ঞ বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, মামলার বাদি সোহরাব হোসেন ওই কোম্পানির সদস্য। তার আইডি নং ৮৮১৮১৫৫৪ এবং এস,পি,নং ৮৮১৮১৫৫৬। কোম্পানির তার সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে অন্য কিছু সদস্য নিজেদের এজেন্ট করে নেয়। এ ঘটনায় সোহরাব হোসেন গত ৩ অক্টোবর রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। তার সদস্যদের অন্য এজেন্ট অর্থাৎ আমানউল্লাহ পলাশ (যার আইডি নং ৯৩১৩৮৭৯৭ এবং এসপিও নং ৮৮১৭৯৪১৩) ভাগিয়ে নেয়। যা কোম্পানির আইনের পরিপন্থি। এঘটনায় নোটিশের কোন সন্তোষজনক জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর আগে ২০১২ সালে ২১জুন সোহরাব হোসেন কোম্পানির ম্যনোজিং ডাইরেক্টর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তাতেও কোন পদক্ষেপ গ্রহন না করায় তিনি আইনজীবির মাধ্যমে ডিমাণ্ডনোটিশ প্রেরণ করেন গত ২০১২ সালের ৩ অক্টোবর। নোটিশটি কর্তৃপক্ষরা গ্রহন করে নোটিশের কোন জবাব না দিয়ে তিয়ানশি ব্যবসা পরিচালনা করতে থাকে। এরপর সোহরাব হোসেন ৪২০দণ্ডবিধির ধারায় ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মি: ষ্টাফেন ঝাউকে আসামি করে যশোর বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ক অঞ্চল আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার নং ১২২১। তারিখ৩ মার্চ ২০১৩। বিজ্ঞ বিচারক সোহরাব হোসেনের অভিযোগটি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে ১২ মে শুনানির দিন ধার্য্য করে। শুনানির দিনে আসামি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মি: ষ্টাফেন ঝাউ হাজির না দিলে আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পরবর্তীর দিন ধার্য করেন ৩ জুন। এমাসের ২৩ জুন ওই আদালতে আত্মসর্ম্পণ করে জামিনের প্রার্থণা করে ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মি: ষ্টাফেন ঝাউ। আদালত তাকে জামিন দেন।

এদিকে তিয়ানশির বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়ের হলে ওই কোম্পানির সদস্যদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। অনেকেই কোম্পানির এ প্রতারণার শিকার।তাই অনেকেই ওই প্রতারণারমূলক কোম্পানির সদস্যপদ বাতিল করে নিজ নিজ ব্যবসা শুরু করেছেন।

যশোরের উপশহরের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি মেম্বার কাজী ফিরোজ আহম্মেদ বলেছেন, সারা দেশে আনাচে কানাছে এমএলএম কোম্পানি তিয়ানশিন অফিস করে প্রতারণার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হচ্ছে। সরকারের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তিয়ানশির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সাধারণ মানুষকে রক্ষার দাবি করেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top