সকল মেনু

দাউদ মার্চেন্টের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

daud-merchant-abn_43385হটনিউজ২৪বিডি.কম : ‘আন্ডার ওয়ার্ল্ডের বস’ খ্যাত দাউদ ইব্রাহীমের সহযোগী আব্দুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কীভাবে দেশে ফেরত পাঠানো যায় সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় দূতাবাস। এখানে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, ‘দুটি মামলায় সাজা ভোগ শেষে আদালতের নির্দেশেই দাউদ মার্চেন্টকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে যদি এই দেশে থাকতে চায়, তাহলে তাকে ভিসা নিয়ে থাকতে হবে। তা না হলে তাকে চলে যেতে হবে। তিনি কীভাবে চলে যাবেন, তা ভারতীয় দূতাবাস সিদ্ধান্ত নিবেন।’

তাকে পুশব্যাক করা হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তাকে পুশব্যাক করার দরকার নেই। যা করার ভারতীয় দূতাবাস করবে।’

দাউদ মার্চেন্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছেন কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, না, বাদ বাকিটা ভারতীয় দূতাবাস করবে।’

এর আগে, গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় আবদুর রউফ ওরফে দাউদ মার্চেন্টকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল ইকবাল হাসান। তিনি বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা ছিল। এ মামলায় তার সাজার মেয়াদও শেষ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি কোথায় গেছেন তা আমাদের জানা নেই।’

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৭ মে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই মামলায় তার ৫ বছরের সাজা হয়। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়। এরপর ১ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়ার পরই তাকে জেলগেট থেকে আবার ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি ভারতীয় শীর্ষ প্রযোজনা সংস্থা টি-সিরিজের কর্ণধার গুলশান কুমার হত্যা মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামি। ১৯৯৭ সালের ১২ আগস্ট মুম্বাইয়ে গুলি করে গুলশানকে হত্যা করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top