সকল মেনু

বেলাবতে রকেট চক্রবর্তীর পরিচয় নিয়ে ধুম্রজাল

imagesবেলাব(নরসিংদী) প্রতিনিধি: বেলাবতে রকেট চক্রবর্তী নামে সংখ্যালঘু পরিবারের এক ব্যক্তির ১৪ বিঘা জমি তারই জ্ঞাতি ভাই রাজিব চক্রবর্তী সহ একটি কুচক্রি মহল কর্তৃক আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পাটুলী ইউনিয়নের ভাবলা গ্রামের ঐতিহ্যবাহি বাবুর বাড়িতে।  জানা যায়,কুচক্রি মহলটি রকেট চক্রবর্তীর জমি আত্মসাতের সুবিধার্থে বে-আইনী ভাবে রকেট চক্রবর্তীর নাগরিকত্ব ও পরিচয় নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন এবং এলাকায় ধুম্রজাল সৃষ্টির অপচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছে। ভোটার লিষ্টে নাম অন্তভুক্তির ক্ষেত্রে তৈরী করেছে প্রতিবন্ধিকতা। ফলে রকেট চক্রবর্তী জন্মসূত্রে এদেশের সন্তান ও নাগরিক হলেও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তিনি এদেশের নাগরিক নয়। সম্পত্তি আত্মসাতের সুবিধার্থে রকেট চক্রবর্তী তার জন্মদাতা পিতা মৃত শীতল চক্রবর্তীর ছেলে নয় বলে এলাকায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। অথচ তার রয়েছে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দেয়া জন্ম সনদ,মাল্টিপোল পাসপোর্ট। আর যারা এ চরম সত্যের পক্ষালম্বন করছে তাদের বিরুদ্ধেও চলছে অপপ্রচার। এ কুচক্রি মহলের চক্রান্তের শিকার হয়ে রকেট চক্রবর্তী বর্তমানে নিঃশ্ব ও সর্বহারা।

বৃদ্ধা মাকে নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে জমি ফিরে পাবার জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। উল্লেখ্য যে,এ ভূমিদুস্য এ চক্রটি প্রথমে রকেট চক্রবর্তীর চাচা নিহারঞ্জন ওরফে দুলাল চক্রবর্তীর সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করে তাকে বাড়ি ছাড়া করে। সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে কথা হয়, ভাবলা গ্রামের বাবুরবাড়ির নিকট প্রতিবেশি শতবর্ষী কৃষ্ণা রাণি দাসি সহ খন্দকার সুলতান উদ্দীন,আঃ খালেক, মাসুদূ রানা ও তার আপন তিন চাচাত ভাই সহ এলাকাবাসির সাথে। তারা জানান রকেট চক্রবর্তী মৃত শীতল চক্রবর্তীর ছেলে এতে কোন সন্দেহ নাই। যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তারা একটি কুচক্রি মহল। তার সম্পত্তি স্থায়ী ভাবে আত্মসাত করার জন্যই তারা মিথ্যা রটনা রটাচ্ছে।  উল্লেখ্য যে,রকেট চক্রবর্তীর পিতা শীতল চক্রবর্তীর মৃত্যুর পর তিনি অনেকটা ভবঘুরে ও উদাসিন প্রকৃতির হয়ে পড়ে। বাড়িতে না থেকে তিনি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে বেড়াতেন। ফলে পিতার রেখে যাওয়া সম্পত্তি দেখভাল করতেন রাজিব চক্রবর্তী। রকেট চক্রবর্তী মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসলে রাজিব চক্রবর্তী তাকে বাগানের ফলফলাদি ও কিছু টাকা দিয়ে বিদায় করে দিতেন।

এর ভিতরে জমি আত্মসাতের চক্রান্তের নীল নকশা তৈরী করে রাজিব চক্রবর্তী। এ ফাঁকে শীতল চক্রবর্তীর কোন উত্তরাধিকার নেই দেখিয়ে ভূয়া কাগজপত্র তৈরী করে সমস্ত জমি খারিজ করে নেয় রাজিব চক্রবর্তী গং।  খবর পেয়ে,রকেট চক্রবর্তীর গ্রামে এসে তার বিরুদ্ধে নরসিংদী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) নিকট ৪টি আপিল মামলা দায়ের করেন। যা বর্তমানে চলমান। এ ব্যাপারে রকেট চক্রবর্তী বলেন, ঘৃনিত কুচক্রি রাজিব চক্রবর্তী গং আমার বিশাল সম্পতি আত্মসাতই নয়,মুছে ফেলতে চাচ্ছে আমার জন্মগত নাগরিক ও সাংবিধানিক অধিকার। আমাকে আশ্রয় দেয়ায় শিল্পপতি রানা চৌধুরির বিরুদ্ধেও চালানো হচ্ছে নানা অপপ্রচার। শিল্পপতি রানা চৌধুরী বলেন,রকেট চক্রবর্তীর পরিচয় স্বীকার করে নেওয়ায় আমার ক্রয়কৃত ৬ বিঘা জমি ফেরত দিতে হচ্ছে । এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রাজিক চক্রবর্তীর বক্তব্য নেওয়াÍ জন্য বারবার চেষ্ঠা করেও সাংবাদিকদের সাথে তিনি কথা বলতে রাজি হয়নি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top