সকল মেনু

সোনাগাজী বখতারমুন্সী সড়কের বেহাল দশা

unnamedফেনী প্রতিনিধি: বৃষ্টি হলে সড়ক দিয়ে কলেজে যাওয়া-আসার সময় খুব সতর্ক থাকতে হয়। কারণ, বৃষ্টি হলে সড়কের গর্তগুলো কাদাপানিতে ভরে যায়। আর যানবাহনের চাকা সেসব গর্তে পড়লে কাদাপানি ছিটকে পড়ে জামাকাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বেশি কাদাপানি পড়লে অনেক সময় কলেজে না গিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে হয়।’
বখতারমুন্সী শেখ শহিদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ সফিক ডাকবাংলা থেকে বক্তারমুন্সি অংশের অবস্থা বর্ণনা দিতে গিয়ে কথাগুলো বলেন তিনি।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ডাকবাংলা থেকে বক্তারমুন্সি পর্যন্ত এক কিলোমিটার অংশ বেহাল। সড়কের এ অংশ ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ। এ কারণে পথচারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, সড়কের এই এক কিলোমিটার অংশে রিকশা চলতে চায় না। যাঁরা চালান, তাঁরা বেশি ভাড়া হাঁকান। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও টমটমের চালকেরা ভাড়া বেশি চান। হেঁটে গেলে কাদাপানির ছিটায় জামাকাপড় নষ্ট হয়।
রিকশাচালক শরিয়ত উল্যাহ রিফাত, সড়কটিতে চলাচল করার সময় প্রায় প্রতিদিনই রিকশার স্পোক ভেঙে যায়। এতে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ভাড়া বেশি চাইলে অনেকে রিকশায় উঠতে চান না।
এলাকাবাসী জানান, এ সড়ক দিয়ে উপজেলার মঙ্গলকান্দি, চর মজলিশপুর, বগাদানা ও চর দরবেশ ইউনিয়নের মানুষ ডাকবাংলা হয়ে সোনাগাজী উপজেলা সদর ও ফেনী শহরে আসা-যাওয়া করেন। এ ছাড়া সড়কটি দিয়ে বক্তারমুন্সি শেখ শহিদুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজ, মোয়াজ্জেম হোসেন উচ্চবিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী যাতায়াত করে।
সূত্র জানায়, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ডাকবাংলা-কাজীরহাট সড়ক সর্বশেষ সংস্কার করা হয়।
বক্তারমুন্সি বাজার প্রায় দুই শ বছরের প্রাচীন ও ফেনীর দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বাজার। বাজারটি শীতলপাটি ও পাটি বেচাকেনার জন্য বিখ্যাত। শীতলপাটি ব্যবসায়ী সামছু মিয়া বলেন, গোটা এলাকার মানুষ হাটবারে শীতলপাটি ও পাটি বিক্রির জন্য বাজারে নিয়ে আসেন। পথে কাদাপানির ছিটা পড়লে সেগুলো ক্রেতারা কিনতে চান না। এতে দাম কমে যায়। তিনি বলেন, এখান থেকে পাটি কিনে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। সড়ক খারাপ হওয়ায় ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে।
বক্তারমুন্সি বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন ও ব্যবসায়ী পলাশ বসাক বলেন, সড়কের দুরবস্থার কারণে সাধারণ ক্রেতারা বাজারে আসতে চান না। এ ছাড়া পণ্য পরিবহনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাসুদ করিম বলেন, তিনি কিছুদিন আগে ফেনীতে যোগ দিয়েছেন। সড়কটির অবস্থা সম্পর্কে তাঁর জানা নেই। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে কী করা যায়, সেটা তিনি দেখবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top