সকল মেনু

সংসদে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ

 pm-sm_37238হটনিউজ ডেস্ক:  নারী-পুরুষের সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘প্লানেট ফিফটি ফিফটি চ্যাম্পিয়ন এন্ড এজেন্ট অব চেইঞ্জ অ্যাওয়ার্ড পুরস্কারে ভূষিত করায় তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে সংসদে সর্বসম্মতভাবে প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম মঙ্গলবার রাতে জাতীয় সংসদে সংসদ কার্যপ্রণালী বিধির ১৪৭ বিধিতে ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করেন। প্রস্তাব উত্থাপন করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দূরদর্শিতা, প্রজ্ঞা, মেধা, সুযোগ্য, প্রাজ্ঞ নেতৃত্ব, কর্র্মদক্ষতা, একাগ্রতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য নিরলস পরিশ্রমের স্বীকৃতি হিসাবে এ পর্যন্ত ২৭টি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশের নয় তিনি এখন নিজ যোগ্যতায় বিশ্বনেতায় পরিণত হয়েছেন। তিনি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।
প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর মানসিক শক্তি দিয়ে দেশের নারী সমাজকে ঘরের বাইরে বের করে এনেছেন। শেখ হাসিনা দেশে উন্নয়নের রাজনীতি করছেন। অন্য দিকে আরেকজন নারী আছেন যিনি দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছেন। জ্বালাও-পোড়াও-এর রাজনীতি করছেন। কয়েকদিন আগেও গণতন্ত্রকে বার্ণ ইউনিটে আবদ্ধ করেছিলেন। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে শুধু দেশের নারী সমাজ নয়, সমগ্র দেশের মানুষের ক্ষমতায়ন করেছেন। তিনি দেশের মানুষকে মাথা উঁচু করে চলা শিখিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব শান্তিতে তিনি অবদান রাখছেন।
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, চারিদিকে শূন্যতা তবুও পিতার আরাধ্য স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে এগিয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শূন্যতার সকালকে রাঙা প্রভাতে পরিণত করেছেন। জনতার শক্তিকে পুঁজি করে জঙ্গিদের নির্মূল করেছেন শেখ হাসিনা। হতদরিদ্র মানুষদের ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ভর্তুকি দিচ্ছেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, এক সময় এদেশের নারীদেরকে অলঙ্কার মনে করা হতো। স্বাধীনতা বিরোধীদের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিলেন। এমনি এক দুঃসময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হন। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর বুঝিয়ে দেন শুধু চার দেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকাই নারীর জীবন নয়।
প্রস্তাবের ওপর অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের সদস্য ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ড. হাছান মাহমুদ, আব্দুল মতিন খসরু, মোহাম্মদ ফারুক খান, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর, তাজুল ইসলাম, বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সানজিদা খানম, বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, আবু জাহির, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, একেএম শাজাহান কামাল, আবুল কালাম, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, সেলিম উদ্দিন, পীর ফজলুর রহমান, জাসদের মইনউদ্দিন খান বাদল, তরিকত ফেডারেশনের সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী ও স্বতন্ত্র সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী। আলোচনা শেষে ডেপুটি স্পিকার প্রস্তাবটি ভোটে দিলে তা সর্বসম্মতভাবে সংসদে গ্রহণ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top