সকল মেনু

বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকার কাজ করছে -চুমকি

unnamedহটনিউজ ডেস্ক: ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার মাধমে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকার কাজ করছে। খাদ্যের বিনিময়ে শিক্ষা, বিনামুল্যে বই বিতরণ, বৃত্তিপ্রদানসহ বিভিন্ন সহযোগিতার মাধ্যমে প্রতিটি শিশুর শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। কোন শিশু যাতে অবহেলিত না থাকে, রাতে রাস্তায় না ঘুমায় সে বিষয়ে সরকার নানামূখী পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। বাল্যবিবাহ বন্ধে প্রশাসনিক কার্যক্রম জোরদার করাসহ শিশু ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা তৈরী করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে অভিভাবককেও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। শিশু অধিকার সপ্তাহ ও জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৬ উপলক্ষ্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি ও জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের যৌথ আয়োজনে এবং প্ল্যান বাংলাদেশের সহযোগিতায় বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধে করণীয় শীর্ষক এক সংলাপে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার রাজনধানীর এফডিসিতে এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’স চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে সংলাপে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম, এনডিসি, ডিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনার ফরিদা ইয়াসমিন এবং জাতীয় কন্যা শিশু এ্যাডভোকেসি ফোরামের সচিব নাসিমা আক্তার জলি।

প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি আরো বলেন, বাল্যবিবাহের মূল কারণ হলো দরিদ্রতা ও শিক্ষার অভাব। বাল্যবিবাহ বন্ধে যে আইন আছে তা অনেক পুরনো, সেগুলোর সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সঠিক বয়স নির্ধারণের জন্য জন্মনিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন বন্ধে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন বিষয়ে হেল্পলাইন ১০৯২১ নাম্বারে ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় যে কেউ ফোন করলে তাৎক্ষনিক সেবা পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও থানাসহ ওয়ার্ড পর্যায়ে শিশু ও নারীবান্ধব কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম বলেন, বাল্যবিবাহ কমিয়ে আনতে দরিদ্র বাবা-মায়েদের জন্য কাজের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের প্রতি সদয় আচরণ করা উচিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার গৃহকর্মীদের শ্রম ঘন্টা ও বেতন কাঠামো নিয়েও কাজ করছে।¬ শ্রম আইনের আওতায় যেসব কাজ করা নিষিদ্ধ নয়, সেসব কাজের জন্য শিশুদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান করছে সরকার।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, শিশুর নিরাপত্তায় শুধু আইন প্রয়োগ করে নয়, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তুলতে হবে। তাদের অধিকার নিশ্চিত করা গেলে আমরা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি যারা শিশু নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে তারাই অনেক ক্ষেত্রে শিশুর অধিকার লঙ্ঘিত করছে। জনাব কিরণ আরো বলেন, শিশুদের সুরক্ষায় ও তাদের জন্য নিরাপদ বাসভূমি গড়ে তুলতে রাষ্ট্র তথা সরকারকে আরো বেশি যতœবান হতে হবে। মনে রাখতে হবে শিশুদের ভবিষ্যৎ জীবন গঠনে আমরা ব্যর্থ হলে রাষ্ট্র ব্যর্থ হবে। এই ব্যর্থতার দায়ভার কেউ এড়াতে পারবে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top