সকল মেনু

সতীত্ব পরীক্ষা দিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য !

8_36567হটনিউজ ডেস্ক : মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে ভালো ফলকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রধান যোগ্যতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে মিশরের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য শুধু ভালো ফল করলেই হবে না; এর জন্য বাড়তি পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে নারী শিক্ষার্থীদের। অর্থাৎ সতীত্ব পরীক্ষায় পাশ করলেই দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সুযোগ পাবেন তারা। এর ব্যতিক্রম হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন নারী শিক্ষার্থীরা। এমন পরামর্শ দিয়েছেন মিশরের সংসদ সদস্য ইলহামি আজিনা। এর জন্য সরকারি হাসপাতালে মাদক পরীক্ষার পাশাপাশি সতীত্ব পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আর এমন প্রস্তাবনার পর দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। ওই সংসদ সদস্যের বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রকাশের পর মিশরের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে। এর আগেও নারীদের খৎনাকে সমর্থন জানিয়ে বিতর্কিত হয়েছিলেন ইলহামি।

ইলহামি আজিনার বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ইয়াম সেভেনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে নারীদের সতীত্বের পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। এই কার্যক্রম চালু হলে মিশরের তরুণ গোষ্ঠীর মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত বিয়ের সংখ্যা বাড়বে। দেশটির আইনজীবী গামাল ইদ টুইট করেছেন, সংসদ সদস্যের এই ধরনের প্রস্তাবনার কোনো ভিত্তি না থাকলেও এটা বলা যায়, এ থেকে কোনো ভালো ফল পাওয়া যাবে না।

ইলহামির এ ধরনের কথা কানে না তোলার পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, কারো ব্যক্তিগত ব্যাপারে নাক গলানো সরকারের উচিৎ না। দেশজুড়ে এমন বিতর্ক শুরুর পর ইলহামি বলেন, তরুণ গোষ্ঠীকে সচেতন করতেই এমন প্রস্তাবনা দিয়েছিলাম। প্রথাগত বিয়ের বদলে নিবন্ধনে উৎসাহিত করতে সরকারকে এই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত,ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে এখনও মিশরের অধিকাংশ বিয়ের আনুষ্ঠানিক নিবন্ধন হয় না। আবার অনেকের মতে, আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে অনেক বেশি ব্যয় বহুল। তাই নিবন্ধন থেকে দূরে থাকেন তারা। ফলে দেশটির পরিসংখ্যানে বিয়ে সম্পর্কিত সঠিক তথ্য পাওয়া সম্ভব হয় না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top