সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে বিয়ে বাড়িতে নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে ধরতে গেলে উত্তেজনার এক পর্যায়ে এক এসআই ও দুই কনস্টেবলকে আটকে মারপিট করেছে আসামিপক্ষের লোকজন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার হাতেম হাসিল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর থানার পুলিশের উপ-পরিদর্শক সেলিম রেজা, কনস্টেবল শহিদুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম এবং মামলার স্বাক্ষী জহুরুল ইসলাম।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, সদর থানায় দায়েরকৃত নারী নির্যাতন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত প্রধান আসামি রায়গঞ্জ উপজেলার হাসলি গ্রামের ইমান আলীকে গ্রেফতার করতে দুই কনস্টেবলসহ এসআই সেলিম রেজা পার্শ্ববর্তী হাতেম-হাসিল গ্রামের একটি বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি ইমান আলী বিয়ে বাড়ির লোকজনের সহায়তায় পালিয়ে যায়। আসামি পালিয়ে যেতে সহায়তা করার পর আসামির স্বজনেরা সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের উপর চড়াও হয়ে মারপিট চালায়। পরে তারা পুলিশকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এদিকে আসামি ইমান আলীর স্বজনরা জানিয়েছেন, পুলিশ উত্তেজিত হয়ে বিয়ে বাড়ির এক মহিলাকে বন্দুক দিয়ে আঘাত করলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়।
তবে এসআই সেলিম রেজা মোবাইলে মহিলাকে আঘাত করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, তারা ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করার পর সংঘবদ্ধভাবে পুলিশের উপর আক্রমণ করে
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।