সকল মেনু

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চারদিন পর যানজটমুক্ত

5012_truck হটনিউজ ডেস্ক: চার দিনের দুঃসহ যানজট থেকে অবশেষে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে স্বস্তি ফিরেছে। ভোর থেকেই নির্বিঘ্নেই চলছে উত্তরের ১৬ ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ছয় জেলার যাত্রীরা। তবে যানজট না থাকলেও যাত্রীদের ঈদযাত্রা মসৃন, এমনটা বলা যাবে না। কারণ পর্যাপ্ত বাসের অভাবে পণ্যবাহী গাড়িতে ঝুঁকি নিয়েও বাড়ি যেতে দেখা যাচ্ছে যাত্রীদের। নিষিদ্ধ থাকলেও বাসের ছাদেও উঠছে মানুষ। পুলিশ এ বিষয়ে কোনো বাধাই দিচ্ছে না।

গত বৃহস্পতিবার থেকেই উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের একাংশের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ কষ্টকর হয়ে উঠে এই মহাসড়কের যানজটের কারণে। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে কখনও কখনও দুই ঘণ্টার পথ পারি দিতে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টাও লেগে যায়। গত কয়েক বছরের বছরের মধ্যে ঈদের আগে এই মহাসড়কে এমন পরিস্থিতি দেখা যায়নি। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যাত্রীদের এই ভোগান্তির জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন।

তবে টানা চারদিনের অচলাবস্থার পর রবিবার গভীর রাত থেকেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপু অংশে স্বস্তি নেমে আসে। চন্দ্রা, কালিয়াকৈর ও মির্জাপুর এলাকায় গাড়ি চলেছে নির্বিঘ্নে।

তবে গাড়ি চলাচল নির্বিঘ্ন হওয়ার পর দেখা দেয় আরেক সমস্যা। যাত্রীর অনুপাতে গাড়ির সংখ্যা কমে যায়। কিন্তু বাড়ি যেতেই হবে এমন বাস্তবতায় যে গাড়িই পাওয়া গেছে সেটিতেই যেনতেনভাবে উঠার চেষ্টা করেছে সবাই। ফলে বাসের ছাদে তো বটেই, পাশাপাশি ট্রাক, মিনিট্রাকেও উঠেছেন যাত্রীরা।

সড়কের নিরাপত্তায় আনসার ও পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন মোটামুটি স্বস্তিতেই।

গাজীপুরের মত টাঙ্গাইলেও ঘরমুখো যাত্রীদেরকে বাসের ছাদে বা ট্রাকে করে যেতে দেখা গেছে। চলছে পণ্যবাহী যানবাহনও।

বাস চালকরা বলছেন, এই মহাসড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলায় রবিবার থেকে অতিরিক্ত দুইশ পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পর থেকেই পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু করে। এর আগে মহাসড়কে সাতশ পুলিশ যানজট নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছিল।

এলেঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট জাঙ্গাঙ্গীর আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘মহাসড়কে যানজট নেই, তবে মাঝেমধ্যে যানবাহনের গতি ধীর হচ্ছে। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ গাড়ির চাপও কম।’

গোড়াই হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সাব-ইন্সপেক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘মহাসড়কে বড় ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটলে ঈদের আগে আর যানজট হবে না বলে আশা করছি আমরা।’

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মাহবুব আলম বলেন, ‘যানজট না থাকলেও মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে আট শতাধিক পুলিশ কাজ করছে। এই ব্যবস্থা ঈদের পরেও থাকবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top