প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। শসা ও আলুর রসে তো উপকার পাওয়াই যায়—এ ছাড়া মাটির পাত্রে গম ভিজিয়ে রেখে দিন ৫ থেকে ১০ দিন। পাত্রটি রাখতে হবে কোনো স্যাঁতসেঁতে জায়গায়। গম থেকে চারা বের হওয়ার পর ওটা ভেঙে, ব্লেন্ড করে শসা বা আলুর রসের সঙ্গে মিলিয়ে চোখের নিচের অংশে লাগান। উপকার পাওয়া যাবে।
রূপবিশেষজ্ঞ ফারজানা মুন্নীর মতে, রোদে রোদচশমা না পরে যাওয়া কিংবা শারীরিক কোনো সমস্যা থেকেও এটা হতে পারে। তাঁর পরামর্শ—
* চোখের নিচে কালি পড়া শুরু হচ্ছে এমন সময় থেকেই যত্ন নিতে হবে। ছোপ পাকাপোক্ত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা না করাই ভালো।
* দিনের শেষে চোখের মেকআপ অবশ্যই তুলে ফেলুন।
* কমবেশি কাজল লাগান অনেকেই। কাজল প্রতিদিনই পরিষ্কার করে ফেলতে হবে। এটা থেকে কালো ছোপ পড়ে যায়।
* শারীরিক চাপ থেকে অথবা বেশি চিন্তাতেও কিন্তু চোখের নিচটা কালো হয়ে যায়।
* পানি বেশি আছে এমন আইজেল ব্যবহার করা উচিত। এটি ভালো ব্র্যান্ডের হতে হবে।
* টি-ব্যাগ ভিজিয়ে চোখের ওপর রাখতে পারেন। কাজ করবে।
* ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা প্রয়োজন প্রতিদিন।
আয়ুর্বেদ রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা সহজ ঘরোয়া পদ্ধতির কথা জানালেন। গোলাপ ফুলের পাপড়ি দুধ ও মধুর সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করুন। এ ছাড়া টমেটোর সঙ্গেও দুধ আর মধু মাখিয়ে দিতে পারেন। খেয়াল রাখবেন যেন চোখের ভেতরে চলে না যায়।
রূপচর্চার বাইরেও মেকআপ দিয়ে কিছুটা ঢাকতে পারবেন। ত্বকের যে রং তার থেকে এক টোন গাঢ় কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন চোখের নিচের অংশটায়। আট ঘণ্টা ঘুমান। ভাজাপোড়া বেশি না খাওয়াই ভালো। বিশেষজ্ঞরা জানান, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করলে ত্বকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অনেক দেরিতে। এ ছাড়া নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার ও এর যত্ন তো নিতেই হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।