সকল মেনু

জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ চাষ বৃদ্ধির জন্য রূপদিয়ায় কৃষক প্রশিক্ষন

unnamedযশোর প্রতিনিধি: দেশের খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণতা বজায় রাখতে স্বল্প মেয়াদি ও অধিক ফলনের জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ চাষাবাদ আরও বাড়াতে হবে।  এজন্য সন্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমে আধুনিক টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের কোন বিকল্প নাই। এ কারনে এই অঞ্চলে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ চাষ বৃদ্ধির জন্য এবং কৃষকদের তা উৎসাহি করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী বীজ উৎপাদনকারী সমিতি নিরলশ ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রূপদিয়ায় কৃষকদের মাঝে জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ এর এক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত কৃষক প্রশিক্ষণে ২৫জন কৃষক অংশ গ্রহন করেন।
হারভেস্টপ্লাস বাংলাদেশের “ডেলিভারী অব জিংকরাইস” প্রকল্পের আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় ক্ষুদ্র ও মাঝারী বীজ উৎপাদনকারী সমিতি এর উদ্যোগে জিংক সমৃদ্ধ ব্রী ধান-৬২ উৎপাদনকারী চাষীদের প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আজিম বিশ্বাস। প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা বীজ প্রত্যায়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ পরেশ কুমার রায়, বিশেষ অতিথি ছিলেন নমুনা সংগ্রহ কর্মকর্তা কৃষিবিদ ইমরান হোসেন। সূচনায় বক্তব্য রাখেন হারভেস্ট প্লাস বাংলাদেশের কৃষি ও গবেষনা কর্মকর্তা কৃষিবিদ মজিবর রহমান। তিনি জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও চাষাবাদ পদ্বতি সম্পর্কে উপস্থিত কৃষকদেরকে বিস্তারিত ধারনা দেন।
ক্ষুদ্র ও মাঝারী বীজ উৎপাদনকারী সমিতি সাধারন সম্পাদক কৃষিবিদ শ্যামল কুমার পাল এর সঞ্চালনে অনুষ্ঠিত প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে, ক্ষতিকর পোকামাকড়, রোগ-বালাই, বীজের গুনোগত মান ও সংরক্ষণ বিষযে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। কৃষকদের ধারনাকে আরও আধুনিকায়ণ ও সমৃদ্ধ করতে এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। মানুষের শারিরিক স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধের জন্য জিংক একটি অত্যবশ্যকীয় অনুপুষ্টি উপাদান, যার অভাবে বাংলাদেশের প্রায় ৪৫ ভাগ শিশু এবং ৫৭ ভাগ মহিলা ও কিশোরী মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। মানুষের শারিরিক অপুষ্টিজনিত কারনে সৃষ্ঠ রোগ বালাই এর হাত থেকে রক্ষা, মেধা বিকাশ ও শরীর গঠনের জন্য বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইন্সটিটিউট বিশ্বের মধ্যে এই প্রথম উচ্চ জিংক সমৃদ্ধ ব্রি ধান-৬২ উদ্ভাবন করে।
সল্প মেয়াদি এই ধানের ফলন বিঘা প্রতি ২২-২৬ মন এবং উচ্চ মাত্রার জিংক থাকায় এই ধানের চাষাবাদে কৃষকরা বেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এ ক্ষেত্রে কৃষকদেরকে উৎসায়িত ও তাদের চিন্তাকে শাণিত করতে ক্ষুদ্র ও মাঝারী বীজ উৎপাদনকারী সমিতি এর উদ্যোগ ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top