সকল মেনু

বন্যার্তদের ত্রানের চাল বেঁচে খেলেন চিলমারী ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ

  কুষ্টিয়া :

ছবি : ত্রান আত্মসাতকারী চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ –

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ত্রানের চাল বেঁচে খেয়েছেন চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ। সর্বশেষ বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ হওয়া ত্রানের চাল খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করার সময় ৫ টন চালের মধ্যে এক টন বেঁচে দিয়েছেন তিনি। এর আগেও তিনি বন্যার্তদের জন্য বরাদ্দ হওয়া ত্রানের চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে তা আত্মসাত করেছেন বলে ভূক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, ফারাক্কা ব্যারেজের বিরুপ প্রভাবের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পানি পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দু’টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। আকষ্মিক এ বন্যার কারনে রামকৃষ্ণপুর ও চিলমারী ইউনিয়নের ৩৪ টি গ্রামের ১১ হাজার পরিবারের প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এরফলে বন্যাকবলিত অসহায় মানুষের মাঝে সরকারীভাবে ত্রান বরাদ্দ দেওয়া হয়। বরাদ্দ হওয়া কয়েক দফা ত্রানের প্রতি কিস্তির চাল দৌলতপুর খাদ্য গুদাম থেকে উত্তোলন করার সময় এক থেকে দেড় টন চাল ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেয় চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ। সর্বশেষ রোববার দৌলতপুর খাদ্য গুদাম থেকে চিলমারী ইউনিয়নে বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্দ হওয়া ৫ মেট্রিক টন ত্রানের চালের ৪ মেট্রিক টন উত্তোলন করে চিলমারী নিয়ে যান এবং বাঁকী এক টন চাল স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। এর আগেও তিনি একইভাবে ত্রানের চাল বিক্রি করেছেন বলে সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ রয়েছে। শুধু ত্রানের চালই নয় দূর্গম চরাঞ্চলের জন্য বরাদ্দ হওয়া ভিজিএফ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন বরাদ্দের চাল ও অর্থ আত্মসাতেরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদের বিরুদ্ধে। তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ত্রানের চাল বিক্রির কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘ত্রান বিক্রি করিনি, কিছু খরচ খরচা থাকে, আমরা জনপ্রতিনিধি আমাদের সাথে নৌকা ট্রলি নিয়ে যারা থাকে তাদের কিছু দিতে হয়’। ত্রানের চাল বিক্রির বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টি আমি সিরিয়াসলি দেখবো এবং ত্রানের চাল বিক্রির অভিযোগ প্রমানিত হলে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।
উল্লেখ্য এবারের বন্যা ও নদী ভাঙনে চিলমারী ইউনিয়নের বন্যার্তদের জন্য প্রায় ৩১ মেট্রিক টন চাল ত্রান সহগায়তা হিসেবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে বন্যার পানি কমতে থাকায় বানভাষী মানুষের দূর্ভোগ কমেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top