সকল মেনু

চিরিরবন্দরে গরু হাট জমজমাট: কিন্তু দাম বেশি

unnamed মোহাম্মাদ মানিক হোসেন, চিরিরবন্দর(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের চিরিরবন্দর  উপজেলার সর্ববৃহৎ কারেন্ট হাট ও রানীরবন্দর হাট। গত বছরের চেয়ে এবার কোরবানির গরুর দাম বেশি বলে জানান ক্রেতারা। আগের মতো ভারত থেকে গরু আসচ্ছেনা তাই গরুর দাম বেশি বলে ব্যবসায়িরা জানান। তাই এবার কোরবানীর গরুর দাম বেশি। গতকাল সোমবার চিরিরবন্দর উপজেলার, রানীরবন্দর গরুর হাট সরেজমিন ঘুরে ক্রেতা- বিক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

গতকাল সোমবার চিরিরবন্দর হাট গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ছোট – বড়, ষাঁড় – বলদ, বকনা – গাভী সহ প্রায় তিন হাজার গরু হাটে এসেছে। উপজেলার আলোকডিহি গ্রামের খামারী মোঃ আব্দুল্লা হাটে বিক্রির জন্য ৫ টি ষাঁড় এনেছেন। গরুগুলির কি পরিমাণ মাংস হবে জানতে চাইলে স্থানীয় কসাই  আব্দুল হামিদ বলেন, প্রতিটি গরুর তিন থেকে সাড়ে তিন মণ মাংস হবে। প্রতিটি গরুর দাম যাইচ্ছেন ৫৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা। অপর খামারি মোঃ নুরজ্জামান তিন গরু বিক্রির জন্য নিয়ে এসেছেন হাটে। তিনি জানান  প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ টি করে ষাঁড় লালন পালন করেন। গত কোরবানীর এক মাস পর এক একটি গরু ২৬ থেকে ২৭ হাজার টাকায় কিনেছেন। অনান্য বছর গরুর দাম কম ছিল। অপর খামারি বেলাল জানান গরুর খাদ্যের প্রতিটি জিনিসের দাম বেশি। গতবছর মাংসের দাম ছিল ৩২০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। তিনি জানান সারা বছর একটি গরুর পেছনে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা খরচ হয়। এই অবস্থায় প্রতিটি গরু গড়ে ৫৫ হাজার টাকায় বিক্রি করতে না পারলে পোষাবেনা।

সোমবার চিরিরবন্দর হাটে দেখা মেলে, প্রচুর পরিমাণে গরু  । খানসামার  গোয়ালডিহি গ্রামের রহিমদ্দিন বলেন, কোরবানির হাটে বিক্রির উদ্দেশ্যে এলাকার প্রতিটি কৃষক পরিবার গরু পালে। তিনি নিজে যে গরুটি হাটে এনেছেন বিক্রি করতে সেটি ৬ মাস আগে কিনেছিলেন ২৮ হাজার টাকায় গরুটি পুষে বড় স্বাস্থ্যবান করার পর এখন দাম চাচ্ছেন ৫০ হাজার টাকা কিন্তু ক্রেতা দালাল, ব্যবসায়ীরা কেউ ৪৫ হাজার কেউবা ৪৭ হাজার দাম বলছেন। রানীরবন্দর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী জবেদ বলেন গতবছর ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে সেই গরুর দাম এখন ৫৫ থেকে ৫৮ হাজার টাকায় কিনতে হবে। ভারত থেকে গরু আসছেনা।

unnamed

গতবছর কোরবানির হাটে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকাই যে গরু ক্রেতারা কিনেছেন সেই গরু ৩৮ থেকে ৪৫ হাজার টাকায় কিনতে হবে বলে তিনি জানান। গতকাল ডেলাপীর গরু ব্যবসায়ী .রমেস কান্তী জানান  কোরবানি ঈদের জন্য আমরা গরু নিয়ে যাচ্ছি সিলেটে। গতবছরের তুলনায়  এবার প্রতিটি গরুর দাম ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দিয়ে ক্রয় করতে হচ্ছে। জমে উঠেছে চিরিরবন্দরের কারেন্ট হ্াট-রানীরবন্দর হাট। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ক্রেতা এবং ব্যবসায়ীরা গরু ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে। হাটের ইজারাদার মোঃ হালিম ইসলাম জানান গরু ব্যবসায়ীদের সকল প্রকার সর্তকতা,মাইক দিয়ে সচেনতা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও নেওয়া আছে।

উপজেলা প্রানী সম্পদ অফিসার  তারেক রহমান জানান, উপজেলা পশু সম্পদ  কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় এই উপজেলায় প্রায় ২২ হাজার গরু মোটাতাজাকরন করা হয়েছে । এগুলো চিরিরবন্দর হাট-বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছে খামারীরা। তিনি আরো জানান, এই উপজেলায় কুরবানীর পশুর চাহিদা পুরন করেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় কুরবানীর পশু সরবরাহ করছে ।  শুধুমাত্র সুষম গো খাবার সরবরাহ করে এই অঞ্চলের গরু মোটাতাজাকরন  করার কারনে চিরিরবন্দরে কুরবানীর পশুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top