সকল মেনু

ঝড়ো হাওয়ায় চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে

unnamed নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, চাঁদপুর: নদীতে অনবরত তীব্র টেউয়ে বড় স্টেশন মোলহেডের দুই পাশের প্রায় ৩শ’ মিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং পুরাণবাজার মদিনা মসজিদ ট্রলার ঘাটের তিনটি দোকান নদীতে বিলীন হয় এবং দুধ হাটা বস্তির ১৫/২০টি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উত্তাল ঢেউ আর নদী ভাঙ্গন পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। রেলওয়ে ক্লাব রোডের দেলোয়ার (৩৫) জানান, ৮৮’র বন্যার সময়ও বড় স্টেশন মোল হেডে পানি উঠেনি। কিন্তু রোববার সন্ধ্যার পর দেখা গেছে দক্ষিণ দিক থেকে প্রবল বেগে বাতাসের সাথে বিরাট বিরাট ঢেউ এসে আঘাত করতে থাকে। বাঁধের অনেক ব্লক সরে যায় এবং দক্ষিণ পাশের ঢেউয়ের পানি মোলহেডের বাঁধ উপচে পূর্বপাশে প্রচন্ড গতিতে গড়াতে দেখেছেন। পুরো মোলহেড এলাকা হাঁটু পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়ে।
অপরদিকে চাঁদপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সহ-সভাপতি তমাল কুমার ঘোষ, নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ সংগ্রাম কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন মন্টু গাজী জানান, পুরাণবাজারের পশ্চিমবাজার মদিনা মসজিদ সংলগ্ন পাটিয়াল পট্টির ৩টি দোকান ঘর মেঘনায় বিলীন হয়েছে। হরিসভা, দক্ষিণ বাজার, যুগী পট্টি এবং দোল মন্দির পয়েন্টে বাঁধের অনেক ব্লক দেবে গেছে।
প্রবল ঢেউয়ের আঘাতে দুধ হাটা বস্তির ১৫/২০টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নদীর ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখে ভাঙ্গন আতঙ্কে অনেক ব্যবসায়ী  ঘর-গদির মালামাল অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে।
এদিকে শহর রক্ষা বাঁধে ভাঙ্গনের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান জেলা প্রশাসক, পৌর মেয়র জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ, চাঁদপুর চেম্বার নেতৃবৃন্দ এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দ। তারা ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর পওর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী নিজামুল হক ভূঁইয়া জানান, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের প্রভাবে নদীর ঢেউ বাঁধের উপর আঘাত হানে। মোলহেডের দক্ষিণ দিকের প্রায় ২শ’ মিটার স্থান থেকে ব্লক সরে গেছে এবং পূর্ব দিকের ১শ’ মিটার বাঁধ গর্ত হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ ও ব্লক রয়েছে। নদীর পরিস্থিতি শান্ত হয়ে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাগুলো সংরক্ষণের কাজ করা হবে। শহর রক্ষা বাঁধের বড় স্টেশন এবং পুরাণবাজার উভয় ভাঙ্গন স্থান পাউবো কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন বলেও জানান ওই কর্মকর্তা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আতাউর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর অফিসে সদ্য যোগদানকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানসহ অন্য কর্মকর্তাগণ।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top