সকল মেনু

ছাত্রলীগেই ছিল বঙ্গবন্ধুর আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত সহচর

21-8-590x359হটনিউজ২৪বিডি.কম : স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পরাধীন বাংলাদেশে ছাত্রলীগেই ছিলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আস্থাভাজন ও বিশ্বস্ত সহচর। তারা সংখ্যায় কম থেকেও কিন্তু স্বাধিকারের প্রশ্নে কোন প্রকার আপোষ করেনি। ফলে ছাত্রলীগ বৃহৎ বলয় তৈরি করতে পেরেছিল। আমি আশা করবো বঙ্গবন্ধুর পরীক্ষিত ছাত্রলীগ অতীতের মতোই এগিয়ে চলবে।

শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলেঅচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। শোকাবহ আগষ্টে মাসব্যাপি কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি দারুস সালাম শাকিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইয়াজ আল রিয়াদের পরিচালণায় এতে আরো বক্তব্য রাখেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. এ এম আমজাদ, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ মফিজুর রহমান, আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক রাশেক রহমান, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগের সহসভাপতি কাজী এনায়েত, আরিফুর রহমান লিমন, আমিনুল ইসলাম, কাজী আব্দুস সাত্তার মাহবুব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রেজা, শেখ ফয়সল আমীন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম এহতেশাম, দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমূখ।

নাসিম বলেন- অর্থনীতির চাকাকে সচল করে যখন রাষ্ট্র এগিয়ে চলছে তখনই জঙ্গি হামলা হচ্ছে, নানাভাবে আঘাত আসছে। আমরা দেশ ও মানুষের প্রতি দায় থেকে জঙ্গি নির্মূলের জন্য নেমেছি। আমরা আগুনে হাত দিয়েছি, আগুন নেভাতে হবে না হয় হাত পুড়ে যাবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন উন্নয়নমুখী হয় তখনই দেশ ও তার নেতৃত্বের উপর আঘাত আসে, হত্যাযজ্ঞ চলে। ১৯৭৫ সালের শোকাবহ ১৫ আগস্ট এবং এর পরবর্তী সময়ে প্রগতিশীল শান্তিকামী মানুষের উপর আঘাত এটাই প্রমাণ করে।

বেগম খালেদা জিয়াকে খন্দকার মোস্তাকের উত্তরসূরি আখ্যায়িত করে নাসিম বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসিত করে বর্তমানে জঙ্গিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে মোস্তাক, জিয়া ও এরশাদের উত্তরসূরির পরিচয় দিচ্ছেন।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের জরাজীর্ণ অবস্থা দেখে মন্ত্রী বলেন, আমি খুব হতাশ হয়েছি জাতির জনকের স্মৃতি বিজড়িত এই হলটির অবস্থা দেখে। কেনো এই হলটিকে নান্দনিক করে তোলা হলো না? শিগগিরই এই হলটির প্রতি নজর দেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top