সকল মেনু

এবার গুলশান-বনানী এলকায় চলবে বিশেষ রিক্সা ও বাস

gul-ban_26727হটনিউজ২৪বিডি.কম : এবার রাজধানীর গুলশান-বনানী এলকায় চালু হয়েছে বিশেষ রিক্সা ও বাস। এখন থেকে গুলশান, বারিধারা, বনানী, নিকেতনসহ শুধুমাত্র কূটনৈতিক এলাকায় যাতায়াতের জন্য এ বিশেষ রিক্সা ও বাস ব্যবহার করেতে হবে। বাসগুলো চলবে পুলিশ প্লাজা থেকে গুলশান ২ নাম্বার ও কাকলি মোড় থেকে নতুন বাজার পর্যন্ত দুটি রুটে। বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিশেষ পরিবহনের উদ্বোধন করা হয়েছে। গুলশানের কনকর্ড পুলিশ প্লাজা চত্বরে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ‘গুলশান, বারিধারা, বনানী ও নিকেতন অঞ্চলে সার্কুলার বাস সার্ভিস এবং সুবিন্যস্ত রিক্সা চলাচল’ ও ‘সার্কুলার বাস সার্ভিস’-এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ডিএমপি কমিশনার পুরো কূটনৈতিক এলাকায় সব ধরণের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

গত মাসের শুরুর দিকে গুলশানের হলি আর্টিজানে হামলার পর থেকেই ওই এলাকায় সবধরনের গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে প্রশাসন। এতে ভোগান্তিতে পড়েন ওই এলাকার বাসিন্দারা। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসব এলাকায় বিশেষ বাস ও রিকশা চালু করা উদ্যোগ নেয় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। বুধবার সকালে গুলশান-১ এ কনকর্ড পুলিশ প্লাজা চত্বরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিশেষ সার্ভিসের উদ্বোধন করেন এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন।

প্রাথমিকভাবে ওই ৪টি এলাকায় ৫০০ রিকশা ও ২০টি বাস অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি ১০ মিনিট পর পর বাসগুলো নির্ধারিত স্থান থেকে ছেড়ে যাবে। নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

ওই অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন নগরবাসীর সমস্যা চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে সিটি কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সমস্যা চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ঢাকা মহানগরীর নাগরিক সমস্যা সমাধানে বর্তমান সরকার নানামুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন এ কে এম রহমতুল্লাহ, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল এ কে এম শহিদুল হক, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট আবদুল মাতলুব আহ্মাদ, ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া।মন্ত্রী বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হচ্ছে। ঢাকার চার পাশের ৪টি নদী খনন ও ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, এখন বৃষ্টি হলে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়, দুর্ভোগে পড়ে মানুষ, যানজটও বাধে। এই প্রকল্প শেষ হলে আর জলাবদ্ধতা থাকবে না। তিনি বলেন, আগামী শুষ্ক মৌসুমে ঢাকায় সুপেয় পানির সমস্যা থাকবে না। এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ পানির উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে ভূ-উপরিস্থ উৎস হতে পানি সংগ্রহ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে শতকরা ৭০ ভাগ পানি ভূ-উপরিস্থ উৎস হতে সংগ্রহ করা হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top