ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি,হটনিউজ২৪বিডি.কম: আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নেয় অনেক আদিবাসী নারী ও পুরুষ যুদ্ধে যোগ দিলেও তাদের অবদানের কথা খুব একটা উচ্চারিত হয়নি।
দেশকে স্বাধীন করার জন্য বহু আদিবাসী দেশের জন্য জীবন বাজি রেখে পাকিস্থানিদের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমর বা পরোক্ষভাবে লড়াই করেছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলার বীরমুক্তিযোদ্ধা চান উরাও (৭০) তিনি নিজে অস্ত্র হাতে পাকিস্তানিদের বিপক্ষে যুদ্ধ করেছেন। এখন তিনি আর্থিক কষ্টের মধ্য দিনপাতি না করল্ওে স্বাধীনতার স্বাদ তার পূরণ হয়নি।
মুক্তিযোদ্ধা চান উরাও যুদ্ধের সময় ৬ নং সেক্টরে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তার বাড়ী ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি সাত ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের জনক। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরী করেছেন , এখন তিনি অবসর নিয়েছেন।
১৯৭১ সালে ২৬ মার্চ পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ শুরু হলে মুক্তিযোদ্ধা চান উরাও মাত্র ২৬ বছর বয়সে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারত ও নেপালে মুক্তিযুদ্ধেও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন এবং ৬ নং সেক্টরের অধীনে পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তার আদিবাসী সহযোদ্ধা বিশু উরাও গত তিন মাস আগে মারা গেছেন।
মুক্তিযোদ্ধা চান উরাও বলেন, ’’আমরা যে স্বপ্ন নিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম, সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেছে। আদিবাসীরা এখনো প্রতিনিয়ত নির্যাতন নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছে’’। এখনো তাকে বেচে থাকার তাগিদে লড়াই সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হচ্ছে।
এই চান উরাও এর মত আদিবাসী মুক্তিযোদ্ধা হয়তো বাংলাদেশের আনাচে কানাচে অনেক আছে, কিন্তু রাষ্ট্র সবসময় আদিবাসী এই বীরদের যথাযথ মুল্যায়ণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।