সকল মেনু

বিশ্বজিৎ হত্যা মামলা ,পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণ ২১ জুলাই

image_535_75133আদালত প্রতিবেদক :পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার বাদী রাজধানীর সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। গতকাল ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ভারপ্রাপ্ত বিচারক দেওয়ান মো. শফিউল্লাহ এই মামলার প্রথম সাক্ষি জালাল আহম্মেদের জবান বন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এই সাক্ষিকে জেরা করেন। সাক্ষ্য গ্রহণের আগে কারাগারে থাকা মামলার আট আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২১ জুলাই দিন নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।

বাদী জালাল উদ্দিন তার জবানবন্দিতে আদালতকে বলেন, গত বছরের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলের ডাকা অবরোধ কর্মসূচী ছিল। তখন আমি রাজধানীর সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলাম। ওই দিন সকাল সাড়ে ছয় টায় আমার ডিউটি ছিল ধোলাইখালস্থ মদিনা হোটেলের সামনের রাস্তায়। সকাল ৯টা ১৫ এর দিকে রাস্তার লোকজন বলা বলি করছিল, ভিক্টোরিয়া পার্কের উত্তর পার্শ্বে অবরোধী বিরোধীরা একটি ছেলেকে কোপাচ্ছে। সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে যখন গিয়েছিলাম তখন হামলাকারীরা সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। যাকে কোপানো হয়েছিল তার নাম বিশ্বজিৎ। এরপরে রিপন নামের একজন রিক্সা চালক মিডফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই বিশ্বজিত মারা যায়। পরে বিশ্বজিতের ভাই ও বোনকে সূত্রাপুর থানায় মামলা করার কথা বলি কিন্তু তখন বিশ্বজিতের লাশ নিয়ে তার আত্মীয়রা সৎকারের উদ্দেশ্যে শরীয়তপুর রওনা হয়। সেদিনই আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে সূত্রাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারি, বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে ২১ জন আসামি। যারা সবাই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আসামিদের মধ্যে ৮ আসামি গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে কারগারে আছেন। তাহারা হলেন রফিকুল ইসলাম শাকিল ওরফে চাপাতি শাকিল, মাহফুজুর রহমান নাহিদ, এমদাদুল হক, রাশেদুজ্জামান শাওন, এইচ এম কিবরিয়া, সাইফুল ইসলাম, কাইয়ুম মিয়া টিপ ও গোলাম মোস্তফা। আর ১৩ আসামি পলাতক রয়েছেন। পলাতক আসামিরা হলেন রাজন তালুকদার, ইউনুস আলী, ওবায়দুর কাদের তাহসিন, আজিজুর রহমান, আলাউদ্দিন, ইমরান হোসেন, মীর নূরে আলম লিমন, আল-আমিন, রফিকুল ইসলাম, কামরুল হাসান, তারিক বিন জোহর তমাল, মনিরুল হক পাভেল ও মোশাররফ হোসেন। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে পুরান ঢাকার ভিক্টোরিয়া পার্কের সামনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের ক্যাডারদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন নীরিহ দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস। পরে এই ঘটনায় রাজধানীর সূত্রাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জালাল আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করে। গত ২৬ মে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক এ মামলার ২১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে। এরপরে গত ১৮ জুন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন অধিশাখা-১ এ হত্যা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ বদলির এক প্রজ্ঞাপন জারি করে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top