হটনিউজ২৪বিডি.কম : নেতা-কর্মীদেরকে ‘ভাই লীগ’ না করে ‘ছাত্রলীগ’ করার পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতা। আজ রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে দুইদিনব্যাপী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্ধিত সভা ও কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা দেন সংগঠনের সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন।
সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শুধু এশিয়ার বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম ছাত্র সংগঠন। ছাত্রলীগের গর্ব একটি জাতির স্বাধীনতার জন্য নেতৃত্ব দিয়েছে। ছাত্রলীগের নেতৃত্বে দেশে প্রথম স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সংগঠন যার নিজস্ব গঠনতন্ত্র-ঘোষণাপত্র আছে। স্বাধীন ছাত্র সংগঠন। কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আগে ছাত্র, পরে লীগ করবেন। ভাইয়া লীগ করার দরকার নাই। আপনারা ছাত্রলীগ করেন। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের প্রধান সমস্যা জঙ্গিবাদ-উগ্রবাদ। এগুলো মোকাবেলা করতে আমরা সিরিজ কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবো। দুইদিনব্যাপী এই কর্মশালা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। তিনি বলেন, দেশরত্ম শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হলে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। নিয়মিত কর্মি সংগ্রহ অভিযান করতে হবে। তবে কোনভাবেউ যেন অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে না পরে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি।
এসএম জাকির হোসাইন তার সুচনা বক্তব্যের এক পর্যায়ে বলেন, আপনারা নেতার পিছে না দৌড়িয়ে কর্মীর পেছনে দৌড়ান। কারণ কর্মীরাই নেতার প্রাণ। আজকের বর্ধিত সভায় যারা উপস্থিত আছেন, তারা সবাই নেতা। আপনাদেরকে কর্মীদের আইডল হতে হবে। মেধা-দক্ষতা ও যোগ্যতা দিয়ে কর্মীদের মন জয় করতে হবে। কর্মীর সঙ্গে ভাল ব্যবহার করতে হবে। সবচেয়ে বড় কথা ভাইয়া লীগ করার কোনো দরকার নাই। ছাত্রলীগ করেন। আপনি অমুক ভাইয়ের কর্মী, অমুক ভাইয়ের অনুসারী এমন বলার দরকার নাই। ছাত্রলীগ করতে হবে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদেরও ছাত্রলীগকে ভাইয়া লীগ না করার পরামার্শ দেন। তিনি বলেন, এখানে উপস্থিত আছো-এমন কতজন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবে তোমরা ভাইয়া লীগ কর না? ভাইয়ারা না চাইলে কমিটি গঠন হয় না। জাতীয় নেতারা না চাইলে সম্মেলন হয় না। এসব বাদ দিয়ে ছাত্রলীগ করতে হবে।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান এমপি, সাবেক সভাপতি একেএম এনামুল হক শামীম, হুইপ ইকবালুর রহিম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি সাইফুজ্জামান শিখর, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন। দুইদিনব্যাপী এই বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ ও সারাদেশের মহানগর, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকগণ যোগদান করেন এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।