সকল মেনু

এলিয়েন এবং…

Bhootনাহ্! আর পড়তে পারছি না। এবার একটু ঘুমাতেই হবে।’ মনে মনে বলল মামুন। সেই সকাল থেকে পড়ছে সে। এবার একটু ঘুমোতে গেল।
হঠাৎ ঠক ঠক শব্দে তার ঘুম ভাঙল। উঠে দেখে কে যেন দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। একে তো মামুন ভীতু ছেলে, তার ওপর মা-বাবা বাড়িতে নেই। কথায় আছে না, যেখানে বাঘের ভয়, সেখানেই রাত হয়? হলোও তাই। বিদ্যুৎ চলে গেল। মামুন কোনোমতে দাঁড়িয়ে পায়ে পায়ে দরজার কাছে গেল। দরজা খুলে সে তো অবাক! এটা কে! তিন চোখ ও দুই শিংওয়ালা একটা প্রাণী!
মামুন প্রায় মাথা ঘুরিয়ে পড়েই যাচ্ছিল। প্রাণীটা তাকে ধরে ফেলল। বলল, ‘জি>দে বাঃ-হি/’ (তুমি কি আমাকে চেনো?)
মামুন কিছু বুঝতে না পেরে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে রইল। প্রাণীটি কেমন জানি একটা ‘হোফ’ শব্দ করে তার গলার ক্যাসেটটা বাংলার দিকে তাক করে দিল। এরপর বলল, ‘তুমি আমাকে চেনো?’
মামুন বলল, ‘না।’
‘না চেনারই কথা। আমি এসেছি মঙ্গলগ্রহ থেকে। তোমাকে নিয়ে যাব। কারণ তোমাকে খুব দরকার। শুনেছি মানুষ অনেক বুদ্ধিমান হয়।’
মামুনের অনেক দিনের শখ, সে পৃথিবীর বাইরে যাবে। মঙ্গলে যাওয়ার প্রস্তাবে সে ঝটপট রাজি হয়ে গেল। মামুনের বাড়ির সামনেই ছিল স্পেসশিপটি। সেটায় চড়ে ওরা সোজা চলে গেল মঙ্গলে। গিয়ে দেখে, সেখানে সবকিছু আকাশে ভাসছে। এমনকি বাড়িঘর ও গাছপালাও। একটু পরে আবিষ্কার করল মামুন নিজেও ভাসতে শুরু করেছে। তার অনেক মজা লাগছিল। পৃথিবী থেকে মানুষ এসেছে বলে সারা মঙ্গলে তখন হইহই অবস্থা।
মামুনকে থাকতে দেওয়া হলো মঙ্গলের রাজার ঘরে। খুব আরামেই দিন কাটছিল। একদিন হঠাৎ করে ঘুম থেকে উঠে দেখল জানালার ওপাশে একটা বড় স্পেসশিপ দাঁড়িয়ে আছে। ওটার গায়ে লেখা, ‘xf xjmm eftuspz fbsui’। কথাটার মধ্যে কেমন যেন একটা রহস্য। তবে মামুন একটু পরই রহস্যটা ধরে ফেলল। এই এলিয়েনরা আসলে শব্দের মধ্যে যে বর্ণগুলো লেখার কথা, ঠিক তার পরের বর্ণটা লিখেছে। যেমন S-এর বদলে হবে T। তাহলে অর্থ দাঁড়ায়, we will destroy earth. মানে ‘আমরা পৃথিবী ধ্বংস করব।’
কী ভয়ংকর!
মামুন যে এলিয়েনটার সঙ্গে এসেছিল, তাকে ডাকল। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া গেল না। বহু কষ্টে মামুন একাই চুপিচুপি স্পেসশিপের ভেতরে ঢুকে যন্ত্রগুলো সব নষ্ট করে দিল। ওখান থেকে পালানোর সময় দেখা হলো সেই এলিয়েনটার সঙ্গে। বন্ধু ভেবে সে তাকে সব খুলে বলল।
এলিয়েনটা বলল, ‘ঠিক আছে। চলো, এখন তোমাকে পৃথিবীতে দিয়ে আসি।’ মামুনকে নামিয়ে দিয়ে সে আবার ফিরে গেল মঙ্গলে।
ওদিকে মামুন শুনছিল, কে যেন ওকে ডাকছে। ‘মামুন, এই মামুন। ওঠ। পরীক্ষা দিতে যাবি না?’
ঘুম থেকে উঠে মামুন বুঝল, এর সবই ছিল স্বপ্ন। নাশতা করে সে স্কুলে গেল পরীক্ষা দিতে। গিয়ে দেখে পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছে একটাই, ‘এলিয়েনদের জীবন সম্পর্কে লেখো!’
পঞ্চম শ্রেণি, ইনভাইট পিস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উত্তরা, ঢাকা

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top