সকল মেনু

কলকাতার বিদায় মুস্তাফিজের হায়দরাবাদ সেমিফাইনালে

ipl-sun_11948স্পোর্টস ডেস্ক ॥ হটনিউজ২৪বিডি.কম : আসলে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) টি২০ তে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সেমিফাইনাল নেই। তবে আগামী শুক্রবার গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে মাঠে নামবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। সে হিসবে ম্যাচটি রীতিমতো সেমিফাইনালই। বুধবার রাতে আইপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ২বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২২ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে নিজেদের অবতীর্ণ করেছেন সানরাইজার্স। অবশ্য গত খেলায় বাংলাদেশের ২ তারকার লড়াই নিয়ে উত্তেজনার পারদ তলানিতে নেমেছিল ম্যাচ শুরুর আগেই। কলকাতা একাদশে রাখেনি সাকিব আল হাসানকে। মুস্তাফিজ যথারীতি হিসেবি বোলিংয়ে রেখেছেন অবদান।

দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় ২বারের চ্যাম্পিয়ন কলকাতা নাইট রাইডার্সকে ২২ রানে হারিয়েছে হায়দরাবাদ। প্রাথমিক পর্বে দু’বার হারানো দলটির কাছে নকআউট ম্যাচেই হেরে গেল কলকাতা। কলকাতার বিদায়ে নিশ্চিত হয়ে গেছে, এবার নতুন চ্যাম্পিয়ন পাচ্ছে আইপিএল। শুক্রবার এ মাঠেই গুজরাট লায়ন্সের বিপক্ষে মুস্তাফিজরা নামবেন ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এ ম্যাচের আগে ফিরোজ শাহ কোটলার উইকেটে ছিল সবুজের আভা। আর হায়দরাবাদের টপ অর্ডারে বাঁহাতিদের প্রাধান্য। সব মিলিয়েই হয়ত একাদশে জায়গা হয়নি সাকিবের। কিন্তু উইকেটের চেহারা ছিল কেবলই বিভ্রান্তি। বল গ্রিপ করেছে, টার্নও করেছে বেশ। কলকাতা অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর হয়তো মাঠে নেমে ঠিকই অভাব বোধ করেছেন সাকিবর মত একজনের। ৪ ওভারে মুস্তাফিজ দিয়েছেন ২৮ রান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে নিজের প্রথম ওভার করে দিয়েছিলেন ৩ রান। পরের ওভারে ১১। শেষ ২ ওভারে দিয়েছেন ১৪ রান। স্লগ ওভারে কাটার ও ইয়র্কারের মিশেলে মুস্তাফিজের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং ডানা মেলতে দেয়নি কলকাতার ব্যাটসম্যানদের।

গুরুত্বপূর্ণ সময় একটা ক্যাচ অবশ্য ছেড়েছিলেন মুস্তাফিজ। বারিন্দর স্রানের বলে থার্ডম্যানে ছাড়েন সূর্যকুমার যাদবের ক্যাচ, মুস্তাফিজের হাতে লেগে যেটি হয়ে যায় ছক্কা। তবে সেটির বড় খেসারত দিতে হয়নি হায়দরাবাদকে। পরের ওভারেই ময়জেস হেনরিকেস আউট করে দেন সূর্যকুমারকে। এ সূর্যকুমার ও মনিশ পান্ডে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন কলকাতার আশা। ১৬৩ রান তাড়ায় ৬৯ রানে কলকাতা হারায় ৪ উইকেট। পঞ্চম উইকেটে ৫ ওভারে ৪৬ রানের জুটি গড়েন এ দুজন। ১৫ বলে ২৩ করে আউট হয়েছেন সূর্যকুমার।

মুস্তাফিজকে বেশ ভালো খেলছিলেন পান্ডে, তার ৭ বলে নিয়েছেন ১২ রান। কিন্তু ভুবনেশ্বরের ফুল টসে পান্ডে ক্যাচ হয়ে ফিরলে ২৮ বলে ৩৬ রানে শেষ হয়ে যায় কলকাতার শেষ আশাটুকুও। হায়দরাবাদের ভুবনেশ্বর নিয়েছেন ৩ উইকেট, হেনরিকেস দুটি। হেনরিকেস এর আগে ব্যাট হাতেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। সাকিবের বদলে একাদশে জায়গা পাওয়া মর্নে মর্কেল ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বোল্ড করেন শিখর ধাওয়ানকে। দ্বিতীয় উইকেটে ডেভিড ওয়ার্নার ও হেনরিকেস গড়েন ৫৯ রানের জুটি। এ জুটি যখন বিপজ্জনক হয়ে উঠছে, পর পর দুই বলে দুজনকেই ফেরান চায়নাম্যান বোলার কুলদিপ যাদব। ২১ বলে ৩১ করেছেন হেনরিকেস, ২৮ বলে ২৮ ওয়ার্নার।

পরে ২ ছক্কায় ১৩ বলে ২১ রান করা দিপক হুদাকে কুলদীপ ফেরান সরাসরি থ্রোতে রান আউটে। হঠাৎ থমকে যাওয়া হায়দরাবাদের ইনিংসটাকে টেনে নেন যুবরাজ সিং। নিলামে ৭ কোটি রুপিতে কেনা অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান চোটের কারণে খেলতে পারেননি টুর্নামেন্টের প্রথম ভাগে। তবে জ্বলে উঠলেন দলের প্রয়োজনের সময়। ৩০ বলে করেছেন ৪৪ রান, এবারের মৌসুমে ৮ ম্যাচে যেটি তার সর্বোচ্চ। মর্কেলের করা শেষ ওভারে বিপুল শর্মার দুটি ছক্কায় হায়দরাবাদ পেরিয়ে যায় ১৬০। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে শেষ দিকে বড় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে শেষের ওই ২ ছক্কা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top