সকল মেনু

বরগুনার হরিণবাড়িয়া সংরক্ষিত বনের আয়তন বাড়ছে

8নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ২৪ মে : বরগুনার হরিণবাড়িয়া সংরক্ষিত বনকে সম্প্রসারিত করা হচ্ছে। আশপাশের নতুন জেগে ওঠা চরগুলোতে বন বিভাগ সৃজিত বনায়নের কাজ করছে। বিষখালী, পায়রা ও বলেশ্বরের মোহনায় গড়ে ওঠা শ্বাসমূলীয় সংরক্ষিত বন হরিণবাড়িয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কেওড়া, ছইলা, সুন্দরী, পশুর, বাইন, গড়ান, খলিশা, আমুর ও গেওয়া এ বনের অন্যতম বৃক্ষরাজি। এখানে হরিণ, মেছোবাঘ, বনমোরগ, বানর, শূকর, গুইসাপসহ কমপক্ষে ৫০ প্রজাতির পাখি ও বন্য প্রাণীদের বসবাস।

বন বিভাগ ১৯৬৭ সাল থেকে শ্বাসমূলীয় এ বনে বনায়নের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে সরকারের বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ১৯৭৪ সালে এটিকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করে। ২০১৬ সালে বন বিভাগের সমীক্ষায় চরলাঠিমারা ও হরিণবাড়িয়া বন কেন্দ্রের আয়তন সাড়ে ৬ হাজার একর নির্ধারণ করা হয়।

স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, সিডর, আইলা, মহাসেন’র মতো দুর্যোগ থেকে বনটি তাদের রক্ষা করছে প্রাকৃতিক দেয়ালের মতো। এ বনের সঙ্গে তাদের অস্তিত্ব ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা সোলায়মান হাওলাদার জানিয়েছেন, বনটির পশ্চিমাংশ লালদিয়া চর সংলগ্ন এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এগ্রোফরেস্ট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর কবির বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলে বন ধ্বংস হওয়ায় বন্যপ্রাণীর আবাসন সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, জীববৈচিত্র হুমকির মুখে পড়ছে। পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে নতুন চরে বন বিভাগের উদ্যোগে সৃজিত বনায়ন গড়ে তোলা প্রয়োজন।

পটুয়াখালী ও বরগুনার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা অজিত কুমার রুদ্র জানিয়েছেন, এ বনের লাগোয়া ১৫ হেক্টর নতুন জমিতে এনরিচমেন্ট বনায়ন করা হচ্ছে। আরও ৫ হেক্টর জমিতে মাউন্ট বাগান করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ১০ হেক্টর জমিতে ঝাউবাগান করা হয়েছে। সম্প্রতি বনটিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করার একটি প্রস্তাবনা বরগুনা জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া হয়েছে। প্রস্তাবনাটি গৃহীত হলে বনের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে।

বাসস।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top