সকল মেনু

১১ দূতাবাসের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক

2016_05_22_17_46_47_Pix7C5fnSsBPAJSHMLtRcYrF7NmogI_original (1)

হটনিউজ২৪বিডি.কম : যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশে বাংলাদেশি মিশনের অফিসগুলোর দুর্নীতি, মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই সঙ্গে পররাষ্ট্রসচিব ও বর্তমানে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত মিজারুল কায়েসের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে সংস্থাটি।

রোববার এই অনুসন্ধানের শুরুতেই দূতাবাস অডিট অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র চেয়ে চিঠি দিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মুহ. মাহবুবুল আলম। চিঠিতে আগামী ৩০ মে’র মধ্যে চাহিদা মাফিক তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

দুদকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলামেইলকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

যেসব মিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করা হবে সেগুলো হলো: মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, ফ্রান্স, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, কানাডা এবং ফিলিপাইন। এসব মিশনের ২০০৯-১০ থেকে ২০১৪-১৫ পর্যন্ত সম্পাদিত অডিট রিপোর্ট ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র চেয়ে পাঠিয়েছে দুদক।

দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এইসব দেশে অবিস্থিত বাংলাদেশি মিশন, দূতাবাস-হাইকমিশনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এবং কনসুলেট জেনারেল, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অন্য কর্মকর্তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে মিজারুল কায়েস পররাষ্ট্র সচিব থাকাকালে মন্ত্রণালয় থেকে দু’দফায় এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তিনি এ টাকার হিসাব না দিয়েই লন্ডনে হাইকমিশনার হিসেবে যোগ দেন। তিনি মালদ্বীপের রাষ্ট্রদূত থেকে রাশিয়ায় রাষ্ট্রদূত হিসেবে বদলি হওয়ার সময় মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা এবং ২০০৯ সালের জুলাইয়ে রাশিয়া থেকে পররাষ্ট্র সচিবের পদোন্নতি পেয়ে দেশে ফেরার সময় আরও ৫০ লাখ টাকা অগ্রিম নেন। ওই এক কোটি টাকার বিষয়ে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অডিট আপত্তিও তোলা হয়। এর কোনো সুরাহা হয়নি।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বাংলামেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসব অভিযোগ এলে তা আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাই করে দুদক। যাচাই-বাছাই শেষে অভিযোগটি যথাযথ বলে মনে হওয়ায় গত ১৯ মে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় কমিশন। আর অনুসন্ধানের স্বার্থেই রোববার দূতাবাস অডিট অধিপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top