ডেস্ক রিপোর্ট : রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূ-কম্পন অনুভুত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে ঢাকায় এ কম্পন অনুভূত হয়। অনেকে ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৯ বলে জানালেও মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে রিখটার স্কেলে সাত মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।

ঢাকা থেকে ৪৩৪ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশ-ভারত- মায়ানমার সীমান্তে ভূমিকম্পের কেন্দ্র। ভূপৃষ্ঠ থেকে এর গভীরতা ১২০ কিলোমিটার। ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন স্থানে  ভূমিকম্পের খবর পাওয়া গেছে।

এদিকে, অফিস ও বাসা-বাড়ির লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে। অনেককে স্বজনদের কাছে ফোন করতেও দেখা গেছে।

এদিকে হটনিউজ২৪বিড.কম’র কুষ্টিয়ায় প্রতিনিধি জানান, কুষ্টিয়ায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এ সময় বিভিন্ন বাড়িতে ও ভবনে থাকা লোকজন আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসে।

খুলনা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক মুহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান, খুলনায় হঠাৎ চেয়ার-টেবিল-ফ্যানসহ পুরো ভবন কেঁপে উঠে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দু’বার ঝাঁকুনি দেয়। ভূমিকম্পের ঝাঁকুনি টের পেয়েই খুলনার অধিকাংশ ভবনের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। সবার মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক আতংক। কিছু সময়ের মধ্যেই সড়কের সকল যানবাহনও দাঁড়িয়ে পড়ে। এমনকি খুলনার শান্তিধাম মোড়স্থ ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে রোগীরাও ভয়ে বের হয়ে আসেন। তবে ভূমিকম্পে নগর বা জেলার কোথাও কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি-না তাৎক্ষনিক ভাবে তা জানা যায়নি।

স্থানীয়রা জানান, তিনি ভূ-কম্পনের সময় নগরীর শের-এ বাংলা রোড দিয়ে মোটর সাইকেল চালিয়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় হঠাৎ মোটর সাইকেল দুলতে থাকে। এতে প্রথমে তিনি ভয় পেয়ে যান। পরক্ষণেই ভূমিকম্প বুঝতে পেরে নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে পড়েন।  এ ছাড়া নগরীর শান্তিধাম, কাকলিবাগ, টুটপাড়া ও ফুল মার্কেট এলাকায় দেখা যায়, ভূ-কম্পনের আতংকে এলাকার বিভিন্ন ভবন থেকে লোকজন রাস্তায় নেমে এসেছে। বিশেষ করে নারী-পুরুষ ও শিশুরা বেশি আতংকিত হয়ে পড়েন।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূ-কম্পন অনুভূত হয়েছে।  শহররে নবীনবাগরে স্কুল ছাত্র জান্নাতুল ফরেদৌস রাতুল বলেন, ‘আমি ঘররে মধ্যে খাটে বসে বই পড়ছিলাম। হঠাৎ করে খাট লাফালাফি শুরু কর।  আমি ভয়ে বাইরে বরে হয়ে যাই।