ডাঃ জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম শহরের পুরাতন রেল স্টেশন এলাকায় রাস্তার পাশের ডাস্টবিন থেকে নব জাতক কন্যা শিশুকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, মঙ্গলবার রাত ১১ টায় রেল স্টেশনের পাশে ডাস্টবিনে শিশুটির কান্না শুনতে পায় ঐ এলাকার পথচারী ময়নুল হক। পরে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় ময়নুল হক ও জিতু নামের দুই যুবক শিশুটিকে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়। হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে নব জাতক কন্যা শিশুটিকে শহরের পুরাতন রেল স্টেশন পাড়ার শাহ্ আলমের স্ত্রী খাদিজা বেগম নামের এক মহিলার তত্বাবধানে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
পুরাতন রেল স্টেশন পাড়ার ময়নুল হক জানান, আমি রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় বাচ্চাটির কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে ডাস্টবিনের কাছে যেয়ে বাচ্চাটিকে দেখতে পাই। পরে জিতুকে ডেকে নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগীতায় হাসপাতালে নিয়ে যাই। কোন নরপিচাস শিশুটিকে ভুমিষ্ট করার পর ডাস্টবিনে ফেলে দিয়ে গেছে।
খাদিজা বেগম জানান, সদর হাসপাতালে আমি রোগী দেখতে এসেছিলাম। এসময় শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। নাম পরিচয়হীন শিশুটিকে দেখে আমার ভিষন মায়া লেগে যায়। আমি তখন থেকেই বাচ্চাটির দেখা শুনা করছি। আমি বাচ্চাটিকে নিতে চাই।
খাদিজা বেগমের স্বামী শাহ্ আলম জানান, আমার স্ত্রী বাচ্চাটি নিতে চায় এবং সে আশায় বাড়িতে না যেয়ে বাচ্চাটির দেখা শুনা করছি। আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের নিকট আবেদন করছি যেন শিশু সন্তানটিকে আমার স্ত্রীকে দেয়া হয়। আমরা তাকে মানুষ করতে কোন রকম ত্রুটি করবো না।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক ডাঃ নজরুল ইসলাম জানান, নব জাতককে জন্মের ২ ঘন্টার মধ্যে ডাস্টবিনে ফেলা রাখা হয়েছিল। শিশুটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। হাসপাতাল কতৃপক্ষ তার নাম দিয়েছে বৈশাখী। পরিচয় বিহীন শিশুটির ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।