ভোলা প্রতিনিধি : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোলা সদর উপজেলার ৮ নং আলীনগর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ জাহিদুল হক শুভ (আনারস প্রতীক) ও তাঁর স্ত্রী সানজিদা হক (টেলিফোন প্রতীক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে শেষ পর্যন্ত আর নির্বাচনী মাঠে থাকতে পারেননি জাহিদুল হক শুভ ও তাঁর স্ত্রী সানজিদা হক। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন দলের বিদ্রোহী এ দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী। তাঁরা মঙ্গলবার থেকে সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দিয়েছেন। ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্থাপিত ওই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পও সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আলীনগর ইউনিয়নের মাদ্রাসা বাজার এলাকা, সাহেবের কাচারী, মাঝের চৌমুহনী, পন্ডিতের পোল, বেপারী বাজার, মোল্লা কান্দি, বটতলা নতুন মসজিদসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহিদুল হক শুভ’র নির্বাচনী ক্যাম্প সরিয়ে ফেলা হয়েছে। গত ৩-৪ দিন আগেও ওই এলাকায় আওয়ামীলীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী বশির আহমেদের নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পের সামনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদুল হক শুভ’র ক্যাম্প ছিল। কিন্তু এখন আর সেখানে চোখে পড়ছে না তাঁর ক্যাম্প।
স্থানীয়রা জানায়, আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের চাপে জাহিদুল হক শুভ ও তাঁর স্ত্রী সানজিদা হক নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তাই এখান থেকে শুভ’র নির্বাচনী ক্যাম্পও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী আর নির্বাচন করবেন না। ফলে এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের আর কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের একমাত্র দলীয় প্রার্থী মোঃ বশির আহমেদ।
নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে জাহিদুল হক শুভ এ প্রতিনিধিকে বলেন, জৈনপুরী পীর সাহেবের অনুরোধে আমি ও আমার স্ত্রী স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা হক নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। তাছাড়া প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে উপর মহল থেকে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বসে যাওয়ার ব্যাপারে চাপ প্রয়োগ এবং বিভিন্ন মামলা-হামলার ভয় দেখানোর কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েছি। তাই সব ধরনের নির্বাচনী প্রচার-
প্রচারণাও বন্ধ করে দিয়েছি।