নিজস্ব প্রতিবেদক, হটনিউজ২৪বিডি.কম ৮ মার্চ : তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে শুকনো মৌসুমে নদ-নদীর পানিশূন্যতায় বিশাল এলাকা জুড়ে থাকে শুধুই ধুধু বালুচর। এ সময় জেলার নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১২০টি চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের যাতায়াত ও কৃষিপণ্যসহ প্রয়োজনীয় মালামাল পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আর এ দুর্ভোগ লাঘবে ব্যবহূত হচ্ছে ‘টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি’।
ফুলছড়ির গজারিয়া গ্রামের ঘোড়া গাড়িচালক মতিউর রহমান জানান, এক ঘোড়া দিয়ে ছোট ছোট মোটরের টায়ারের চাকায় চলে এসব গাড়ি। চরের বালুর উপর দিয়ে ওই গাড়িগুলো দিব্যি চলতে পারে। প্রতিটি গাড়িতে অনায়সে ১৬ থেকে ২০ মণ কৃষিপণ্য পরিবহন করা যায়। এছাড়া চালকসহ ৫ থেকে ৬ জন যাত্রী বালুচর পেরিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারে। বালুচর ছাড়াও এসব টাট্টু ঘোড়ার গাড়িতে মেইন ল্যান্ডে এবং উপজেলা পর্যায়ের সড়কেও মালামাল পরিবহন করা হয়। সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজারের খোরদা নামাপাড়া গ্রামের টাট্টু ঘোড়া গাড়িচালক নজরুল ইসলাম জানান, তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজার ও নিজাম খাঁ গ্রামে এসব টাট্টু ঘোড়ার গাড়ি সবচাইতে বেশি। শুধু এ দু’টি এলাকাতেই চরাঞ্চলে চলাচলকারী ৩০টি ঘোড়ার গাড়ি রয়েছে। এসব ছোট্ট আকৃতির টাট্টু ঘোড়া খুব কষ্টসহিষ্ণু এবং মাল টানায় যথেষ্ট পারদর্শী। গাধার চেয়ে এদের উচ্চতা সামান্য বেশি। মাত্র ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় একটি ঘোড়া পাওয়া যায়। তবে ঘোড়া এ জেলায় পাওয়া যায় না। কিনতে হয় দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রামের খড়িবাড়ী এবং টাঙ্গাইলের তুলসিপুর হাট থেকে। সেখানে গরু-ছাগলের হাটের মতো টাট্টু ঘোড়ার হাটও বসে।
হটনিউজ২৪বিডি.কম/এআর
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।