এস,আই মল্লিক, ঝিনাইদহ থেকে:ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের এক ব্যক্তির ১ বিঘা জমির ফলন্ত পেঁয়ারা গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে সাবাড় করে দিয়েছে দূর্বৃত্তরা। বিষয়টি থানা পুলিশ জানতে পেরে কোটচাঁদপুর সার্কেলের এএসপি খান আলি আজমের নির্দেশে থানার সেকে- অফিসার এসআই জয়নাল আবেদীন তড়িৎ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যপারে পিয়ারা বাগান মালিক আজিজুল ম-ল ৩ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দাখিল করলে পুলিশ আতিয়ার (২৪) নামের এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে।
বাগান মালিক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের আজিজুল ম-ল বলেন, গ্রামের পার্শ্ববর্তী মাঠে আমার ৩৩ কাঠা পিয়ারা বাগান আমি নিজেই প্রতি রাতেই পাহারা দিই। শুক্রবার রাতে আমার শরীরটা ভাল না থাকায় রাতে বাগানে যায়নি। সকালে বাগানে গেলে দেখতে পাই পিয়ারা বাগানের চারি ধারের গাছ গুলি রেখে ভিতরের সব গাছ গুলি কাটা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে রয়েছে। এ সময় আমার চিৎকারে পাশের অন্যান্য বাগান মালিকরা ছুটে এসে এ দৃশ্য দেখে আমাকে ধরে পিয়ার বাগান থেকে বাড়িতে নিয়ে যায়। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমি খুব কষ্ট করে এ বাগানের গাছ গুলি বড় করেছি। সবেমাত্র ফল ওঠা শুরু হয়েছে আর এ সময় পূর্বের শত্রুতার জের ধরে আমার ক্ষতি করলো পাশের বাড়ীর বিষারতের ছেলে মণ্টু, ময়না ও আতিয়ার। ওরা আমাকে হত্যার জন্য এসেছিলো আমাকে না পেয়ে আমার পিয়ারা বাগান শেষ করে দিয়েছে। তিনি বলেন- আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই গ্রামের হায়দার আলী বিশ্বাস বলেন, এ গ্রামের প্রধান অর্থকারী ফল এখন পেঁয়ারা। আমারও ৬ বিঘা পেঁয়ারা বাগান রয়েছে। এ বাগানে অমানসিক শ্রম দিতে হয় তার পর একটি বাগান তৈরী হয়। এমন জঘন্য ঘটনা এ গ্রামে প্রথম। এ অপরাধের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হলে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস করবেনা। ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম বলেন, চাষীদের এমন ক্ষতি পূরণ হওয়ার মত নয় । এ ন্যক্কার জনক ঘটনায় দোষিদের দ্রুত শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর সার্কেলের এএসপি খান আলি আজম বলেন, আমি থানাকে বলে দিয়েছি মামলা নেয়ার জন্য। এ অপরাধের কোন ক্ষমা নেই।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।