ক্রীড়া প্রতিবেদক, মিরপুর থেকে : ঘরের মাঠে আয়োজিত এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় বাংলাদেশ। ওই ম্যাচে হারের ফলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়।
এই ম্যাচের জয়-পরাজয়ের উপর নির্ভর করছিল অনেক কিছু।তবে অঘটন কিছু ঘটেনি। প্রত্যাশিত জয়টিই তুলে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
অবশ্য টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দর্শকদের মন ভরাতে পারেনি টাইগাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রান সংগ্রহ করতে পারে তারা। কিন্তু বল হাতে দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছে বাংলাদেশের বোলাররা।
সে কারণে অল্প পুঁজি নিয়েও ৫১ রানের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মুস্তাফিজ, সাকিব, মাহমুদউল্লাহ আর মাশরাফির বোলিং ভেল্কিতে মাত্র ৮২ রানে গুড়িয়ে যায় আরব আমিরাতের ইনিংস। ফলে ৫১ রানের দারুণ এক জয় পায় বাংলাদেশ। পাশাপাশি টিকে থাকে এশিয়া কাপের ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে।
শুক্রবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন মাহমুদউল্লাহ, মুস্তাফিজুর রহমান, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। ১টি করে উইকেট নেন আল-আমিন হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
ব্যাট হাতে ৪৭ রানের ইনিংস খেলে প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচ হন মোহাম্মদ মিথুন। আর ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৬ ও বল হাতে ৫ রানে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
এর আগে, ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশের দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিথুন ঝড়ো সূচনা এনে দেন। কিন্তু টপ অর্ডার ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় বড় পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ছিল একেবারেই নড়বড়ে। সেই বৃত্ত থেকে ইউএইর বিপক্ষেও বের হয়ে আসতে পারেনি সাকিব-মুশফিকুর রহিমরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিনে ইউএই ছিল অসাধারণ। নিখুঁত লাইন ও লেন্থ বজায় রেখে বোলিং করে যায় আইসিসির সহযোগী দেশটির অসাধারণ বোলাররা।
ব্যাটিংয়ের শুরুতেই ৪৬ রান যোগ করেন মিথুন ও সৌম্য। উইকেটে সেট হয়ে ধীরে ধীরে স্বরূপে ফিরতে চেষ্টা করছিলেন সৌম্য। মিডউইকেট দিয়ে দারুণ এক ছয় মেরেছিলেনও। কিন্তু পরের বলেই বিপত্তি। নিজের সেরা সময়ে যে বলগুলোকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়েছেন সে বলগুলোকে এদিন বৃত্তের বাইরেও নিতে পারেননি সৌম্য।
১৪ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় তার ইনিংসটি থামে ২১ রানে। অন্যপ্রান্তে মিথুন উইকেটে ৪৭ রান জমা করলেও নিজের ভুলে রান আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান। রোহান মুস্তাফার বলে না দেখে এক রান নিতে রান আউট হন মিথুন। তার ইনিংসটি ছিল ৪১ বলে সাজানো। ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ২টি ছক্কার মার। মিথুনের আগে অবশ্য তিনে নামা সাব্বির এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে তালুবন্দি হন মুস্তাফার বলে।
পরের গল্পটা শুরু ইউএইর। মুশফিকুর রহিম (৪), সাকিব আল হাসান (১৩), নুরুল হাসান (০) ও মাশরাফি (০) পুচকে ইউএইর সামনে মাথা নামিয়ে মাঠ ছাড়েন। মাহমুদউল্লাহকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। একপ্রান্ত আগলে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান। শেষ ওভারে তুলে নেন ১৭ রান। তার অপরাজিত ৩৬ রানে বাংলাদেশ ১৩৩ রানের সংগ্রহ পায়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেরা বোলার মোহাম্মদ নাভীদ ও আমজাদ জাভেদ। ২টি করে উইকেট নেন তারা। ১টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শেহজাদ ও রোহান মুস্তাফা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।