সকল মেনু

জলবায়ু পরিবর্তন: ২০৫০ সাল নাগাদ জিডিপি'র ক্ষতি ২ শতাংশ!

২০৫০ সাল নাগাদ জিডিপি'র ক্ষতি ২ শতাংশ!
২০৫০ সাল নাগাদ জিডিপি’র ক্ষতি ২ শতাংশ!

২২ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ :  বিশ্বব্যাপি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী ২০৫০ সাল নাগাদ দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ২ শতাংশ কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তাদের মতে, ২১ শতকে এই হার বেড়ে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে।

আজ রবিবার বেলা ১০টায় রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিট (ডিআরই) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানেজলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশ কর্মীরা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অনুমিত অবদান-আইএনডিসিরপ্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জলবায়ু পরিবর্তন ইউনিট।

অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আহসান উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্যারিসে জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক কর্মকাঠামোর সনদ এরই মধ্যে ১৫০টির অধিক দেশ জমা দিয়েছে।

তবে আইএনডিসিতে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। সরকার যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে- সেটিও সম্পূর্ণ নয়। প্রতিবেদনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলীয় জনগোষ্ঠী ও ক্ষতির শিকার প্রান্তিক মানুষের দাবি উঠে আসেনি।

তিনি আরো বলেন, এই প্রতিবেদনের লক্ষ্য নির্ধাণে সরকার কিছু কিছু বিষয় উহ্যে রেখেছে। শুধু তাই নয়, আমাদের কারণে নি:সরণের ন্যায্যতা নিয়েও লক্ষ্য নির্ধারণ সকলের আশার প্রতিফলন ঘটেনি।

বর্হিবিশ্বে কার্বন নি:সরণের পাশাপাশি দেশেও এই হার কমাতে হবে।

“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়ে আগেই বলেছেন- বিশ্বের তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির বেশি বাড়তে দেওয়া উচিত হবে না। যদিও আইএনডিসি বলছে- ৩ থেকে ৪ ডিগ্রি বাড়বে।

এটাও সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়”- বলেন ড. আহসান।

জলবায়ু পরিবর্তন ইউনিটের প্রকল্প সমন্বয়কারী ড. খালিদ হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- অ্যাকশন প্লানের তানজিল ইসলাম, সিএসআরএল-এর ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউল হক মুক্তা, নেটওয়ার্ক পর ক্লাইমেট চেঞ্জ-এর মিজানুর রহমান বিজয়, উন্নয়ন ধারা নির্বাহী পরিচালক আমিরুল রসুল প্রমুখ।

আইএনডিসি প্রতিবেদনে পর্যলোচনা ও বিশ্লেষণের দরকার উল্লেখ করে অনুষ্ঠারে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জ্বালানি নির্ভরশীলতা কমাতে বা পরিবর্তনের উপর জোর দিচ্ছে।

আমরা প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে কয়লা ব্যবহারের কর্মপরিকল্পনা করছি। অথচ, চীন দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে কয়লার পরিবর্তে গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা তৈরি করতে চাচ্ছে।

এটা প্রমাণ করে, আইএনডিসি অনেক বেশি সংরক্ষিত। এটা প্রণয়নে অবশ্যই সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তা না হলে, সুবিধাভোগীরাই সুবিধা পাবে আর ভুক্তভোগীরা সারা জীবন ভুক্তভোগীই থেকে যাবে।

এর আগেই পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় ‘ইনটেন্ডেড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ট কন্ট্রিবিউশন- আইএনডিসি’ প্রকাশ করে। আজ এরই ভাষান্তর প্রকাশনা উন্মোচন করা হয়।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে আয়োজ করে ক্রিশ্চিয়ান কমিশন ফর ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ, বেসরকারি সংস্থা ক্লিন, ব্রেড ফর দ্য ওয়ার্ল্ডসহ আরো কয়েকটি সংস্থা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top