সকল মেনু

প্রতিটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব হবে : প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি উৎসবের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি উৎসবের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক

শাবি, ২৯ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
শনিবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রযুক্তি উৎসবের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এ ঘোষণা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগ ৫ম বারের এই প্রযুক্তি উৎসবের আয়োজন করেছে। এই পুরো আয়োজনের স্পন্সর হয়েছে কানাডা ভিত্তিক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান আইপিভিশন কানাডা ইনকর্পোরেশন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আমিনুল হক ভূইয়া, বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাস, আইপিভিশন কানাডা ইনকর্পোরেশনের সিওও রাকিবুল হাসান, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার, অধ্যাপক শহিদুর রহমান, শিওরক্যাশ এর সিইও ড. শাহাদাত খান, এক্সটেন এর সিইও আশরাফ হোসাইন ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শহীদুর রহমান প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তরুণ প্রজন্মকে প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। ২০০৮ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের ঘোষণা দিয়েছিলেন সে লক্ষ্যে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৬লাখ এবং মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ কোটি।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১ বিলিয়ন আইসিটি রপ্তানী করবে এবং ২০২১ সালের মধ্যে সেটা ৩ বিলিয়নে রুপান্তর করা হবে।
এসময় পলক উপস্থিত ৪৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বিশেষায়িত ল্যাব নির্মাণের জন্য শাবিপ্রবিকে ৪০লাখ টাকা বরাদ্দ দেন। পরবর্তীতে বরাদ্দ বাড়ানোরও ঘোষণা দেন তিনি।
প্রযুক্তি উৎসবের বিভিন্ন ধরনের আয়োজনের মধ্যে প্রধান চারটি ইভেন্ট ছিল -প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, সফটওয়্যার প্রতিযোগিতা, প্রজেক্ট প্রদর্শনী এবং গেমিং প্রতিযোগিতা।
প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে শাবিপ্রবি, তৃতীয় হয়েছে বুয়েট। প্রোজেক্ট প্রদর্শনীতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে সিলেট মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যালয়, তৃতীয় হয়েছে শাবিপ্রবি।
সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং দ্বিতীয় হয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এগ্রিকালচার এন্ড টেকনোলজি।
এছাড়া মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় হয়েছে শাবিপ্রবি।
উল্লেখ্য, উৎসবে প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় সারা দেশ থেকে মোট ৪৬ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১১ টি দল, সফটওয়্যার প্রতিযোগিতায় ১২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ টি দল এবং প্রজেক্ট প্রদর্শনীতে ১১ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ২২ টি দল অংশ নেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।

top