সিরাজগঞ্জ, ২২ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : প্রকৃতিতে এখন শীতকাল। সবুজ-শ্যামল ধরণীর বুকে ধীরে ধীরে নামছে শীত। শীতের সঙ্গে সঙ্গে চলনবিলে আগমন ঘটছে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখির। হেমন্তের বিদায়ে শীত আসে কুয়াশার চাদর জড়িয়ে। প্রচন্ড ঠান্ডা ও বরফের আচ্ছাদনের যখন সাইবেরিয়া ও অন্যান্য শীতপ্রধান দেশ ঢেকে যায়, তখন নিরাপদ আবাসস্থল ও খাদ্য সন্ধানে অসংখ্য পাখি বাংলাদেশের বিভিন্ন হাওর-বাওড়, নদীর সঙ্গে সঙ্গে এই চলনবিলে।
এই চলনবিলে পাখিরা হাজার হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে আসে। অধিকাংশ পাখি রাতের বেলায় চলাচল করে। এটা তাদের সহজাত স্বভাব এবং বংশ পরম্পরায় চলতে থাকে।
অতিথি পাখিদের মধ্য রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। গুলিন্দা, জৌরালি গাঙচিল, পানচিল, জিরিয়াসহ রঙ বেরঙের অসংখ্য বালি হাঁস। এদের বেশীর ভাগই জলচর। দেশীয় পাখির সঙ্গে এদের মিলনমেলায় ভরে ওঠে চলনবিলের প্রাণ। সু-মধুর কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে চলনবিলের চারপাশ। শীতকাল অতিবাহিত করে ফিরে যায় ওরা তাদের নিজ নিজ দেশে।
আর এই সময়ের মধ্যে পাখিরা ক্ষতিকারক পোকামাকড় দমন এবং মাটিকে উর্বর করে তোলাসহ জলজ পরিবেশকে সুন্দর রাখতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে। কিন্তু এই অতিথি পাখিদের আবাসস্থল ধ্বংস এবং অবৈধ শিকার করায় এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আগের মতো আর দেখা যায় না।
ফলে আমাদের পরিবেশ ব্যবস্থা ভারসাম্যহীন হচ্ছে। এজন্য পাখিদের রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। অতিথি পাখিদের নিরাপদ আবাসস্থল ও পর্যাপ্ত খাবারের নিশ্চয়তা দিতে হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।