২০ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ : মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদেও দলীয় প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার বিধান অন্তর্ভূক্ত করতে সংশোধনী প্রস্তাব জমা দেন সরকারের শরিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির সংসদ সদস্যরা।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, অ্যাডভোটেক মুস্তফা লুৎফুল্লাহ ও টিপু সুলতান পৃথক ভাবে এই সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। তবে সরকারি দলের সদস্যদের উত্থাপিত কয়েকটি সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।
এদিকে স্থানীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদে স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) বিল-২০১৫ পাস হয়েছে। এখন থেকে পৌরসভার মেয়র পদপ্রার্থীরা স্ব স্ব দলীয় প্রতীক বরাদ্দ পাবেন। আর কাউন্সির প্রার্থীদের আগের মতোই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার রাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিলটি পাসের প্রস্তাব উত্থাপন করলে তা কণ্ঠ ভোটে পাস হয়।
এর আগে বিলটি উপর জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব উত্থাপন করলেও তা নাকচ হয়ে যায়। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম ওমর, ফখরুল ইমাম, সেলিম উদ্দিন, আব্দুল মতিন, পীর ফজলুর রহমান ও নূরুল ইসলাম মিলন এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, হাজী মো. সেলিম।
উল্লেখ্য, সংসদে পাস হওয়া বিলটি রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করলে তা আইনে পরিণত হবে। এরপর গত ২ নভেম্বর পৌর আইন সংশোধন করে রাষ্ট্রপতির জারি করা অধ্যাদেশ বাতিল হয়ে যাবে। গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বহুল আলোচিত এই বিলটি উত্থাপনের পর তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। গত বুধবার বিলটি পাসের সুপারিশ করে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেয় সংসদীয় কমিটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।