ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, সংসদকে হেয় প্রতিপন্ন করে মন্তব্যের পর ক্ষমা না চাওয়ায় টিআইবি’র নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।বুধবার জাতীয় সংসদে অনুষ্ঠিত আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
সংসদের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত জানান, সংসদকে রক্ষা করতে হবে। এনজিওগুলোকেও জবাবদিহিতার আওতায় আনেতে হবে। টিআইবির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কাকের কাজ কাককে করতে হবে, কাক ময়ুর সাজলে হবে না। এনজিও হয়েও টিআইবি এ কাজ করেছে। সংসদকে হেয় করায় টিআইবি’র নিবন্ধন বাতিল করতে হবে।
এনজিও নিবন্ধন বাতিলের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যাতলয়ের অধীন এনজিও ব্যুরো ব্যবস্থা নেবে। সংসদকে হেয় করার এখতিয়ার কোনো এনজিওর নেই বলে উল্লেখ করেত তিনি।সংসদের সমালোচনা হতেই পারে। এজন্য জনগণ রয়েছে, গণমাধ্যম রয়েছে, বিরোধী দল রয়েছে, সংসদের বাইরে থাকা বিএনপিও হতে পারে। কিন্তু এনজিও তা পারে না। তিনি আরো জানান, সংসদ নিয়ে টিআইবি’র গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে আপত্তি নেই। তবে সংসদকে পুতুল নাচের নাট্যশালা ও বিরোধী দলকে বি টিম বলায় সংসদকে হেয় করা হয়েছে।
টিআইবি বিবৃতি দিয়ে বলছে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আরেকদিন বলবে আদালত নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এটা হতে পারে না। সমালোচনার পর এ ধরনের বিবৃতি স্পর্ধার শামিল। এ জন্যে ক্ষমা না চাওয়ায় তাদের নিবন্ধন বাতিলের সুপারিশ করেছি আমরা।
এনজিওগুলো বারবার সংসদ, উচ্চ আদালত, নির্বাচন কমিশনের মতো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে হেয় করার প্রবনতা রোধ করার বিষয়ে তাগিদ দেন সুরঞ্জিত।
বৈদিশক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন বিল, ২০১৫ নিয়ে কমিটি বিস্তারিত আলোচনা করেছে। কমিটি বিলে এনজিওদের শাস্তির বিষয়ে নতুন কোনো কিছু যোগ করার সুপারিশ করেনি বলে জানান সুরঞ্জিত।
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে হেয় করলে এনজিও’র বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও সুপারিশ করিনি আমরা। সেক্ষেত্রে বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নিবন্ধন বাতিল করার বিষয়টিই রাখা হচ্ছে। তবে নিবন্ধনের সময়সীমা বাড়ানোর বিষয়েও একমত হয়েছে কমিটি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।