১৭ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদ নিউজ : ২০১২ সালে রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং পরবর্তী সময়ে এর রেশ বয়ে বেড়ানোকে কেন্দ্র করে দেশের পর্যটন খাতে ক্ষতি হয়ে গেছে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা।
এর উপর সম্প্রতি দুই বিদেশি হত্যার ঘটনায় আবারো ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে এই খাত সংশ্লিষ্টদের। বাংলাদেশে চলমান নিরাপত্তাহীনতার পরিবেশে পর পর দুজন বিদেশি নাগরিক খুন হওয়ার কারণে বিদেশি পর্যটকরা অনেকেই সফর সংক্ষিপ্ত করে চলে গেছেন, অনেকে আগাম বুকিং বাতিল করেছেন।
পর্যটনখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা এ অবস্থাকে অশনি সংকেত হিসেবে দেখছেন। এ পরিস্থিতিতে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণকেন্দ্র কক্সবাজার এবং সুন্দরবন এলাকার হোটেল ও ট্যুর অপারেটররা এবারের শীত মৌসুমে তাদের ব্যবসায় বিপর্যয় আশঙ্কা করছেন।
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. আকবারুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশে পর্যটনখাত একটি সম্ভাবনাময় খাত। এটি মাথায় রেখে এই খাতটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারকে দেশে স্থিতিশীলতা আনতে হবে।
পাশাপাশি খাত সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে নীতিগত সহায়তা, ঋণের ওপর শোধের হার কমানো, খাত সংশ্লিষ্টদের ডিউটি ফ্রি গাড়ি আমদানির ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে।
আকবারুদ্দিন বলেন, সুন্দরবন এবং কক্সবাজারে এয়ারপোর্ট করতে হবে। ঢাকাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে বিদেশিরা যাতে সোজা এসব জায়গায় নামতে পারে। পাশাপাশি উচ্চগতি সম্পন্ন রেলের ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন রিসোর্টগুলোতে পর্যাপ্ত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে।
বাংলাদেশে বিদেশিদের নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের ব্রিফ করেও বিদেশিদের মনে আস্থা সৃষ্টি করতে পারছে না।
এমন অবস্থায় পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে সরকারের বিশেষ উদ্যাগ কতটা সফল হবে সেটা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।