ঢাকা, ১৫ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ আজ বলেছেন, ওয়ার সেন্টারের পাশাপাশি নবপ্রতিষ্ঠিত আর্মি ডাটা সেন্টারও ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে উন্নয়নের আরেকটি যুগান্তকারী অর্জন। বিশ¡ায়নের সাথে তাল রেখে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে সেনাবাহিনীও যে পিছিয়ে নেই, আর্মি ডাটা সেন্টার তার অনন্য দৃষ্টান্ত।
তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, “সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নির্ধারণ করেছে। আমি মনে করি ওয়ার সেন্টার ও আর্মি ডাটা সেন্টার ‘ফোর্সেস গোল’ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।”
রাষ্ট্রপতি ও সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক আবদুল হামিদ আজ ঢাকা সেনানিবাসে কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম সেন্টার ও আর্মি ডাটা সেন্টার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
এর আগে, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অনুষ্ঠানস্থলে এসে পৌঁছালে তাঁকে স্বাগত জানান সেনাবাহিনী প্রধান আবু বেলাল মুহাম্মদ শফিউল হক।
পরে রাষ্ট্রপতি কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম সেন্টার ও আর্মি ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করেন। রাষ্ট্রপতিকে ডাটা সেন্টার সম্পর্কে অবহিত করেন ‘এআরটিডিওসি’-এর ভারপ্রাপ্ত জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার।
কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম সেন্টার ও আর্মি ডাটা সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে দুটি বড় মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, যুদ্ধক্ষেত্রের জটিল পরিস্থিতিতে নির্ভুল রণকৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাই সামরিক কমান্ডারদের পেশাগত উৎকর্ষতার পরিচায়ক।
সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে ঘটনা প্রবাহ দ্রুত পরিবর্তনশীল ও বহুমাত্রিক। ফলে নিখুঁত পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং সময়োচিত সঠিক সিদ্ধান্তের ওপরই জয়-পরাজয় বা সাফল্য-ব্যর্থতা বহুলাংশে নির্ভর করে। এ কারণে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিনির্ভর ‘অপারেশনাল অ্যাসেসমেন্ট’ এর সাথে বাস্তবলব্ধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সম্মিলন ঘটানো জরুরী।”
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনে যুদ্ধ ছাড়াও যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরী পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রপতি।
সেনাবাহিনীর পেশাগত উৎকর্ষতা বৃদ্ধিতে প্রযুক্তিনির্ভর কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম সেন্টার ও সময়োপযোগী ‘সিমুলেশন সিস্টেম’র গুরুত্ব অপরিসীম উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ওয়ার গেইম সেন্টার-এর অন্তর্ভুক্তি ব্রিগেড ও ডিভিশন পর্যায়ের কমান্ডারদের পরিকল্পনা প্রণয়ন, ডেপ¬লয়মেন্ট ও কন্টিনজে›িস প্ল্যানিং সহ বাস্তবসম্মত প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে একটি বড় অগ্রগতি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, “বর্তমান সরকারের ‘প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ’ বা ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপরেখায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও শামিল হয়েছে। নব-সংযোজিত ওয়ার গেইম সেন্টার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ছাড়াও ভূমিতে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের সীমাবদ্ধতা মোচন, অনুশীলনের ব্যয়ভার সংকোচন, অধিকতর বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের প্রয়োগ ঘটাতে সক্ষম হবে”।
আবদুল হামিদ বলেন, “দেশে আজ অনেক ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনীর সদস্যগণ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রে কাজ করছে। আমি আশা করব, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্তি পরিদপ্তর সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে একত্রে কাজ করবে”।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।