ঢাকা, ১৩ নভেম্বর ২০১৫, নিরাপদনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার ডায়াবেটিসসহ সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি বলেন, “আমরা গ্রামে-গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছি। উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আধুনিকায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যস্থ্যকেন্দ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী আজ ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। আগামীকাল ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির উদ্যোগে ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্যসম্মত খাবারই ডায়াবেটিস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের অন্যতম উপায়’।
দেশে গণমুখী স্বাস্থ্যনীতি প্রণয়ন করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, নতুন নতুন হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা বহুগুণে বাড়ানো হয়েছে। বিপুল সংখ্যক চিকিৎসক, নার্স ও প্যারামেডিকস্ নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নারী ও শিশু স্বাস্থের উন্নতি হয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতে আমাদের সাফল্যের স্বীকৃতি আজ বিশ্বব্যাপী। আমরা এমডিজি অ্যাওয়ার্ড ও সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ডসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘস্থায়ী ও জটিল রোগ হলেও এটি প্রতিরোধযোগ্য। আর এজন্য দরকার স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম বা নিয়মিত হাঁটাচলা ও ব্যায়াম করা। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া, কায়িক পরিশ্রম বা নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রিত রাখলে সুস্থ ও স¦াভাবিক জীবনযাপন করা যায়।
তিনি ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধে সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতিসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।-বাসস
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, কর্তৃপক্ষ এর দায়ভার নেবে না।